আমরা প্রতিনিয়ত ক্যানসার, রক্তে কলেস্টেরল, ডায়াবেটিস ইত্যাদি মরণব্যাধি রোগে আক্রান্ত হচ্ছি। বছরে প্রায় ২ লাক্ষ মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। ১০ শতাংশ মানুষ মারা যাচ্ছেন ডায়াবেটিস রোগের কারণে। রক্তে কলেস্টেরল প্রতিনিয়ত ঘরে ঘরে বেড়ে চলেছে।
আর এসব রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধার পূর্বেই আমাদের উচিত বিভিন্ন ভিটামিন জাতীয় ও ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া। বিভিন্ন ফলমূল এবং লাল আটায় ফাইবার থাকে। তবে সব থেকে বেশি ক্যান্সার প্রতিরোধক ও ফাইবার (আঁশ) পাওয়া যায় লাল আটায়।
সোজা কথায় বলতে গেলে, সাদা আটায় পুষ্টি গুন অনেক অনেক কম। কেননা, গম ভেঙ্গে পরিশোধন করে যখন সাদা আটা প্রস্তুত করা হয়,তখন গমে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ এবং আমিষ নষ্ট হয়ে যায়। সাদা আটায় আঁশ খুবই কম থাকে। আর ভূসিসহ লাল আটায় আঁশের পরিমাণ অনেক অনেক গুন বেশি। সকাল-বিকাল নাস্তায় যারা রুটি পছন্দ করেন,তারা সাদা আটার পরিবর্তে লাল আটার ব্যবহার করুন।
পরিবারের প্রতি দ্বায়িত্বঃ
প্রতিটি বাবা মায়ের বা কর্তার উচিত পরিবারের খাবারের প্রতি সচেতন হওয়া। আপনি সচেতন হলে আপনার পরিবারের সদস্যরা সুস্থ থাকবে।আর পরিবারের সদস্যরা সুস্থ থাকলে আপনি চিন্তা মুক্ত বা ভয় থেকে মুক্ত থাকবেন।
প্রতিটি পরিবারের উচিত,প্রতিদিন তাদের খাবারে ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার রাখা। আপনাদের বলবো প্রতিদিন সকাল- বিকেলের নাস্তায় শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাইকে লাল আটার রুটি খেতে দিন।
আপনি টাকা দিয়ে খাবার কিনছেন কিন্তু, আপনি বুঝতেছেন না সেই খাবার আপনার পরিবারের সুস্থতা নিয়ে আসবে না অসুস্থতা? মনে রাখবেন নিরাপদ, ভেজালমুক্ত খাবার ঔষধের বিকল্প।