মোবাইলে বিবাহ করার সঠিক পদ্ধতি
প্রশ্ন : জনৈক ব্যক্তি বিদেশ থেকে মোবাইলের মাধ্যমে এভাবে বিবাহ করে যে, ‘বাংলাদেশ থেকে মোবাইলে প্রস্তাব করে সে বিদেশ থেকে ‘কবুল’ বলে।’ উভয় স্থানে দুইয়ের অধিক সাক্ষী উপস্থিত ছিল। তাদের এই বিবাহ সঠিক হয়েছে কিনা? আর মোবাইলের মাধ্যমে বিবাহের সঠিক পদ্ধতি কী কী?
উত্তর : বিবাহ শুদ্ধ হওয়ার শর্ত হলো, কমপক্ষে দু’জন স্বাধীন প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান মুসলিম সাক্ষী প্রস্তাবদান ও কবুল করার সময় বিবাহের প্রস্তাবদাতা ও কবুলকারীর সাথে একই মজলিসে একত্রে উপস্থিত থেকে উভয়ের কথা শুনা। অতএব সরাসরি মোবাইলের বিবাহের মধ্যে উল্লেখিত শর্ত বিদ্যমান না থাকায় উক্ত বিবাহ শুদ্ধ নয়। দুই দেশে থেকে বিবাহ করার সঠিক পদ্ধতিসমূহ নিম্নরূপ:
ক. এক দেশ থেকে ছেলে বা মেয়ে তার বিবাহ করিয়ে দেওয়ার জন্য অন্য দেশের কাউকে উকীল নিযুক্ত করবে। অত:পর উকীল সাক্ষীগণের সামনে তার মক্কেলের পক্ষ থেকে অন্য পক্ষের কাছে বিবাহের প্রস্তাব করবে। অন্য পক্ষ বিবাহ কবুল করবে অথবা অন্যপক্ষ বিবাহের প্রস্তাব করবে আর উকীল তার মক্কেলের পক্ষ থেকে কবুল বলবে।
উল্লেখ্য যে, উকীল নিযুক্ত করার জন্য সাক্ষী জরুরি নয়। তাই মোবাইলের মাধ্যমে বা পত্রের মাধ্যমে উকীল নিযুক্ত করা যাবে। ছেলে মেয়ে (উভয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হলে) একজন অন্য জনকে উকীল নিযুক্ত করতে পারবে। এক্ষেত্রে সে সাক্ষীদের সামনে পরিচয় উল্লেখ করে বলবে, ‘ওমুক আমাকে তাকে বিয়ে করার উকীল নিযুক্ত করেছে।’ সেমতে আমি তাকে বিবাহ করলাম। এতে বিবাহ হয়ে যাবে।
খ. এক দেশ থেকে ছেলে বা মেয়ে বিয়ের প্রস্তাব কাগজে লিখে অন্যপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিবে। অন্যপক্ষ পত্র পাওয়ার পর সাক্ষীদের সামনে পত্রের প্রস্তাবের বাক্য পড়ে কবুল করবে। এতে বিবাহ হয়ে যাবে।
( الفتاوى الهندية : في باب الاول في تفسيره شرطا وصفته وركنه وشرطه وحكم:( 1/268 (دار الكتاب ديوبند
امرأة وكلت رجلا ليزوجها في نفسه فقال الوكيل بحضرة الشهود تزوجت فلانة ولم يعرف الشهود فلانة لا يجوز النكاح مالم يذكر اسمها واسم ابيها
…لأنها غائبة والغائبة تعرف
* আল হিদায়া : ২/২০৬ * বাদায়েউস সানায়ে: ২/৪৯০
* আদ্দুরূল মুখতার : ৪/৯৮ * ফাতোয়া রহীমীয়া : ৮/২৪১
* আল বাহরুর রায়িক পৃ: ৩/৮৩, * ফাতাওয়া মাহমুদিয়া পৃ: ১৬/২১৯,
*ফাতাওয়া উসমানী পৃ: ২/৩০১০, *ফাতাওয়া মাহমুদিয়া পৃ: ১৬/২২৫।
* আপকে মাসায়িল আওর উনকা হল পৃ: ৬/৯৭,