কুমিল্লা-১১ আসনের সংসদ-সদস্য, সাবেক রেলপথমন্ত্রী এবং কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হকের চেয়ে সম্পদে এগিয়ে তার স্ত্রী। টানা তিনবারের সংসদ-সদস্য তিনি। মন্ত্রী হিসাবে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন সাত বছর। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন তিনি। তবে তার সম্পদের চেয়ে স্ত্রী হনুফা আক্তারের অর্থ-সম্পদ বেশি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওই প্রার্থীর হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
হলফনামার তথ্যানুযায়ী, মুজিবুল হকের বার্ষিক আয় ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৩০০ টাকা। এরমধ্যে সংসদ-সদস্য হিসাবে সম্মানী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা এবং আয়কর আইনজীবী হিসাবে প্রাপ্ত পেশাগত আয় ১৪ লাখ ১১ হাজার ৩০০ টাকা। বাসাভাড়া দুই লাখ টাকা, কৃষি খাত থেকে আয় ছয় হাজার। অস্থাবর সম্পদ হিসাবে তিনি উল্লেখ করেছেন, নগদ আছে ৪ লাখ ৩২ হাজার ৮১০ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৮৯০ টাকা। তার ৭২ লাখ ৩২ হাজার ৭৫৩ টাকা মূল্যের একটি মোটর গাড়ি আছে। স্বর্ণসহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিস আছে ৯৩ হাজার টাকার। স্থাবর সম্পদ হিসাবে কৃষিজমি রয়েছে এক দশমিক ৩৩ একর, যার মূল্য দেখানো হয়েছে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৯৬৪ টাকা। অকৃষি জমি রয়েছে দশমিক ১৬ একর। তার দাম ধরা হয়েছে ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪০০ টাকা। মুজিবুল হকের নামে এক কোটি ৯৬ লাখ ৮৭ হাজার ৫৪২ টাকা মূল্যের দুটি আবাসিক দোতলা ভবন ও একটি বাণিজ্যিক ছয়তলা ভবন রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে এক কোটি ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট।
অন্যদিকে হলফনামায় স্ত্রী হনুফা বেগমের নামে থাকা সম্পদ বিবরণীতে দেখা গেছে, মুজিবুল হকের চেয়ে তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ বেশি। তার নগদ রয়েছে ২০ লাখ ৫৪ হাজার ৬৬৮ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ১১ লাখ ৯৮ হাজার ৪৯৪ টাকা। সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে শেয়ার ক্রয় ও জীবন বিমায় ৬৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। স্থায়ী আমানত ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৮৩৭ টাকা। স্বর্ণ রয়েছে ৮৭ ভরি। ক্রোকারিজ সামগ্রী রয়েছে ২০ হাজার টাকার। জমি রয়েছে দশমিক ৫০১ একর, যার মূল্য ১৯ লাখ ২২ হাজার ৪৫৮ টাকা। এক কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ১৫৮ টাকা মূল্যের একটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে হনুফার। এছাড়া ছেলেমেয়েদের নামে ২ কোটি ৩০ লাখ ৪৫ হাজার টাকার সম্পদ হলফনামায় উল্লেখ করেছেন নৌকার এ প্রার্থী।
