১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শনিবার বসন্তকাল

লোহাগাড়ায় দূর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রে কোপে গুরুতর আহত আরিফ

লোহাগাড়া থেকে মোঃ ইউসুফঃ- মোঃ আরিফুল ইসলাম (২৫) বার আউলিয়া ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি। তিনি পদুয়া ইউনিয়নের ফরিয়াদিকূলস্থ রাবার ড্যাম এলাকার মোঃ হাসানের পুত্র। গত ১৪ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাত আনুমাণিক সাড়ে ৮ টায় তিনি একই এলাকার তাঁর সহপাঠী মোঃ ঈসমাইলসহ (২২) মোটর সাইকেল যোগে পদুয়া বাজার হতে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। একই সময় তাঁর অপর সহপাঠী মোঃ জমির উদ্দিন (৩৫) অপর মোটর সাইকেল যোগে বাড়ি উদ্দেশ্যে এক সাথে রওনা হয়েছিলেন। পদুয়া বাজার হতে ফরিয়াদিকূলে দিকে আসার পথে ৭ নং ওয়ার্ডস্থ কাজী জসিম-এর বাড়ির সামনে পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা দূর্বৃত্তরা প্রথমে আরিফের গাড়ির গতিরোধ করে আরিফের মাথায় ধারালো অস্ত্রের মাধ্যমে কোপাতে থাকে। দূর্বৃত্তদের এলোপাতারি মারধরের মুখে আরিফ রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আরিফের সাথে থাকা অপর ২ সহপাঠী আরিফকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তঁদেরকে ও দূর্বৃত্তরা মারধর করে আহত করে। একই সময় দূবর্ৃৃত্তরা আরিফুল ইসলাম ও জমিরের চালিত মোটর সাইকেল ভাংচুর করে প্রায় ৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। এরপর দূর্বৃত্তরা আরিফুল ইসলামের পকেটে থাকা ব্রিকফিল্ডের ইট বিক্রি বাবদ নগদ ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। আহত আরিফুল ইসলাম ও অন্যরা প্রাণে বাঁচার জন্য শোর-চিৎকার করলে দূর্বৃত্তরা ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে প্রতিবেশি মোঃ জাফর ও মো কামাল দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহত আরিফুল ইসলাম ও তাঁর সঙ্গীয় মোঃ জমির ও ঈসমাইলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। আরিফের অবস্থা আশংকাজনক বিধায় তাঁকে কর্তব্যরত চিকিৎসক চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তিনি বর্তমানে আশংকাজনক অবস্থায় ওখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত অন্য ২ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনার পরপরই থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টীম দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় মোঃ জামাল প্রঃ সিএনজি জামাল (৪৫) কে আটক করেন। এ’ব্যাপারে ১৫ ফেব্রুয়ারী আরিফুল ইসলামের মাতা শাহিনা আক্তার (৪০) বাদী হয়ে থানায় একটি ১২ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেন। উক্ত এজাহারটি নিয়মিত মামলায় রুজু হয় (মামলা নং ১০,তারিখ ১৫-২-২৪ ইং)। উপরোক্ত বিষয়সমূহ থানায় রেকর্ডকৃত মামলার এজাহার সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ১৫ ফেব্রুয়ারী মুঠো ফোনে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাশেদুল ইসলাম’র সহিত যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ঘটনার খবর শুনে তিনি পুলিশের টীম সহকারে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন এবং বাদবাকী আসামীদেরকে গ্রেফতার করার জন্য জোরালো অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।