১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শনিবার বসন্তকাল

লোহাগাড়ায় দিন-দুপুরে জনৈক অধ্যাপক আহমদ কবির-এর বাসা চুরি

লোহাগাড়া থেকে মোাঃ ইউসুফ : উপজেলার আমিরাবাদ স্কুল রোডস্থ জনৈক অধ্যাপকের বাসায় দিন-দুপুরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। ১৩ ফেব্রুয়ারী সকাল আনুমাণিক ১১ টা থেকে ১২ টার মধ্যে এ চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে বাসার মালিক অধ্যাপক আহমদ কবির জানিয়েছেন। তিনি জানান, সকাল আনুমাণিক ১০ টায় তিনি এবং তাঁর স্ত্রী অধ্যাপিকা জেয়াছমিন আক্তার কর্মস্থল আলহাজ¦ মোস্তফিজুর রহমান কলেজে চলে যান। বাসার একাংশে ছিলেন ভাড়াটিয়ে মিজানুল হকের স্ত্রী লাকী আক্তার। লাকী আক্তার সকাল আনুমাণিক ১১ টায় পার্শ^বর্তী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিশু সন্তান আনার জন্য বিদ্যালয়ে যান। এ সুবাদে চোরেরা চুরির ঘটনাটি ঘটিয়েছে। লাকী আক্তার আনুমাণিক পৌণে ১২ টায় বাসায় উপস্থিত হলে দেখতে পান বাসার গেইটের তালা ভাঙ্গা। এরপর বাসায় গেলে তিনি দেখেন বাসার দরজার তালা ভেঙ্গে চোরেরা ভেতরে প্রবেশ করে জিনিষপত্র তছনছ করে ফেলে এবং কক্ষে থাকা আলমিরার তালা ভেঙ্গে চোরেরা আলমিরাতে রক্ষিত তাঁর প্রায় ২ ভরি ওজনের স্বর্ণলংকার নিয়ে গেছে। এরপর তিনি হতভম্ব হয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাসার মালিক অধ্যাপক আহমদ কবিরকে বিষয়টি জানান। অধ্যাপক আহমদ কবির ঘটনার সংবাদ শুনে স্ত্রীসহ দ্রুত বাসায় ফিরে এসে দেখতে পান তাঁদের বাসার দরজার তালা ভাঙ্গা। ভেতরে প্রবেশ করে তাঁরা দেখতে পান রুমের জিনিষপত্র তছনছ করে ফেলেছে চোরেরা এবং একই সময় চোরেরা আলমিরার তালা ভেঙ্গে প্রায় ১ ভরি ওজনের স্বর্ণলংকার ও নগদ ১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অবশেষে অধ্যাপক আহমদ কবির লিখিতভাবে ঘটনায় বিষয়সমূহ উল্লেখ করে থানার একটি অভিযোগ পত্র দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগপত্রে অজ্ঞাতনামা চোরের কথা উল্লেখ রয়েছে। অভিযোগপত্র পাওয়ার পর থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদুল ইসলামের নির্দেশে তাৎক্ষণিকভাবে এসআই মোঃ জামাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার বিষয় নিয়ে মুঠো ফোনে তাঁর সহিত আলাপ করলে তিনি জানান, চুরির সত্যতা তিনি প্রমাণ পেয়েছেন এবং পরবর্তীতে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, গত বছরও একইভাবে তাঁর বাসা চুরি হয়েছিল বলে অধ্যাপক আহমদ কবির উল্লেখ করেছেন।