২৪শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ সোমবার শরৎকাল

তারেকের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত বিএনপির সাথে আলোচনার প্রশ্নই আসে না : তথ্য মন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘তারেকের নেতৃত্বে বিএনপি এখন চূড়ান্ত সন্ত্রাসী সংগঠনের রূপ ধারণ করছে। তাদের সাথে আলোচনার প্রশ্নই আসে না।’
সচিবালয়ে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) প্রকাশিত ‘সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু ৭ম খণ্ড’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে রাজনৈতিক সংলাপ বিষয়ে প্রশ্নে মন্ত্রী একথা বলেন। পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ এবং কর্মকর্তা ও গবেষকবৃন্দ মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।
সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি এখন আর রাজনৈতিক দলে নাই, বিএনপি এখন সন্ত্রাসীদের দলে। যারা রাষ্ট্রের বেদিমূলে আঘাত হানে, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে যারা হামলা চালায় অর্থাৎ বিচার ব্যবস্থার ওপর হামলা চালায়, যারা হাসপাতালে হামলা চালিয়ে অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দেয় ভাঙচুর করে, যারা পুলিশ হত্যা করে, তারা কখনো রাজনৈতিক দল হতে পারে না। তাই বিএনপি এখন কোনো রাজনৈতিক দল নয়, তারেকের নেতৃত্বে বিএনপি এখন চূড়ান্ত সন্ত্রাসী সংগঠনের রূপ ধারণ করেছে। তাদের সাথে আলোচনার প্রশ্নই আসে না।’
একইসাথে হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, আওয়ামী লীগ যে কারো সাথে আলোচনা করতে পারে রাজনৈতিক দল হিসেবে। যারা গণতান্ত্রিক রীতিনীতিতে বিশ্বাস করে, যারা দেশের সংবিধান মানে, আইন ব্যবস্থাকে মানে, বিচার ব্যবস্থাকে মানে তাদের সাথে আলোচনা হবে। ‘২৮ অক্টোবর বিএনপি সারাদেশে হরতাল ডেকে সেই হরতালকে সফল করার জন্যে সেই আগের পুরনো ঘৃণ্য আগুন সন্ত্রাসের তাণ্ডবে ফিরে গেছে। আপনাদের মনে আছে, ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে কিভাবে গাড়ি চালকদের হত্যা করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতেও সাড়ে তিনটার দিকে রাজধানীর ডেমরায় একটি বাস দাঁড়িয়েছিলো, বাসের হেলপার ঘুমাচ্ছিল, সেই বাসে তারা আগুন দিয়েছে। সে আগুনে বাস পুড়ে গেছে, হেলপারও পুড়ে গেছে। বিএনপির আবার সেই জঘন্য নৃশংসতা।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ২৮ অক্টোবর সারাদেশে শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছিলাম। ঢাকা শহরে কমপক্ষে দেড় দুই লাখ মানুষের সমাবেশ হয়েছে আমাদের, সবাই আমাদের নেতা-কর্মী। এতো উস্কানির মধ্যেও আমাদের নেতা-কর্মীরা কোনো উস্কানিতে পা দেয়নি। বরং তারা আমাদের মহিলাকর্মী থেকে শুরু করে অনেককে মারধর করেছে এবং তারা দেড় কিলোমিটার দূরে এতো তাণ্ডব চালালেও আমাদের নেতা-কর্মীরা কিন্তু সেখানে যায়নি। আমরা আমাদের নেতা-কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছি, রেখেছিলাম।’ লালমনিরহাটে আমাদের নেতা-কর্মীরা শান্তি সমাবেশ করছিলো, সেখানে জাহাঙ্গীর হোসেন নামে একজন শ্রমিক লীগ কর্মীকে কুপিয়ে তারা হত্যা করেছে। আবার ঢাকায় মোহাম্মদপুর বাসে আগুন দিতে গিয়ে জনতার ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপির কর্মী একটি বিল্ডিংয়ে উঠে সেখান থেকে লাফ দিতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ একজন দুস্কৃতকারী মারা গেছে, আর বিএনপির ভাষায় “শহিদ” হয়েছে। এই হচ্ছে বিএনপি।