বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতিরস ভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. আবুল বারকাত সম্প্রতি“ভোটারেরমন ও আসন্ন ২০২৪ জাতীয়সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য ফলাফল“শীর্ষক এক গবেষণা সম্পন্ন করেছেন। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতিআয়োজিতএকটি জাতীয় সেমিনার ও সংবাদ সম্মেলনে অর্থনীতিবিদ ড. বারকাতবলেন, আসন্ন ২০২৪ জাতীয় সংসদ নির্বাচনঅবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলকহলে; যেখানে সব দল, প্রার্থী ও ভোটারের জন্য নির্বাচনী মাঠ সমান সমতল হবে─তাহলে ৩০০ আসনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেবাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ১৪৮‑১৬৬টি আসন, বিএনপি ১১৯‑১৩৭টি, অন্যান্য দল ১৫টি আসন পেতে পারে। গবেষণায় উঠে আসাএসব তথ্য তুলেধরে সমিতির সভাপতি আরও বলেন, দেশের ৩০০টি সংসদীয়আসনেরমধ্যে ১৫৫টি আসনেরভাগ্য মোটামুটিনির্ধারিত, যেগুলো দেশেরপ্রধানরাজনৈতিক দলগুলোর‘ভিত্তিআসন’বা‘সম্ভাব্য বিজয়‑নিশ্চিতআসন’। এই ১৫৫টি ভিত্তিআসনেরমধ্যে ৭০টি আসন পেতেপারেআওয়ামীলীগ, ৭০টি আসনবিএনপিএবংবাকি ১৫টি আসনজাতীয়পার্টি, জামায়াতেইসলামী, এলডিপি, বিজেপি। তবেবড় দুই দলেরমধ্যে যেকোনো দলকেসরকারগঠনকরারজন্য প্রয়োজনীয়আর ৮১টি আসন (এসবই‘বিজয়‑অনিশ্চিতআসন’) পেতে হলে ‘দোদুল্যমান ভোটারদের’ ভোটেরওপর নির্ভর করতেহবেএবং যেকোনো আসনে জিততে হলে দোদুল্যমান ভোটারদের ৫৬ শতাংশ ভোট পেতে হবে। দোদুল্যমান ভোটারদের ভোট প্রদানসিদ্ধান্তে দ্রব্যমূল্য, মানবনিরাপত্তা, পদ্মা সেতু, ২০১৮ সালেরনির্বাচনএবংস্যাংশন‑নিষেধাজ্ঞা‑প্যালেস্টাইনেরবিরুদ্ধে ইসরায়েলেরযুদ্ধ ঘোষণা অবজেক্টিভ ফ্যাক্টর ও সংশ্লিষ্টকাউন্টার‑ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে। একই সাথে প্রভাবক হিসেবে আত্মীয়তা, বন্ধুবান্ধব, ঘনিষ্টজন, মুরুব্বিদের উপদেশ‑আদেশ‑নির্দেশ, পিতৃতান্ত্রিকতা (নারীর ক্ষেত্রে) সাবজেক্টিভ ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে।
