ঢাকা প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
টেলিভিশন চ্যানেল মালিক সমিতি (অ্যাটকো) এর ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আজ ৮ জুন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়নকে প্রাধান্য দিন। নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে গণমাধ্যমকে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে।” মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে না পারলে আমাদের সব অর্জন বৃথা হয়ে যাবে।”বিগত পাঁচ দশকের অধিককালে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এই সময়ে স্বাধীনতা বিরোধীরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করার অনেক চেষ্টা চালিয়েছে।”
রাষ্ট্রপতি বলেন, গণমাধ্যম যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে সে লক্ষ্যে সরকার সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতা বিরোধীচক্র যাতে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাসকে কোনভাবেই বিকৃত করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে না পারে তিনি সে লক্ষ্যে গণমাধ্যমকে আরো তৎপর হওয়ার তাগিদ দেন। “গণমাধ্যম অবশ্যই সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করবে। সাথে সাথে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কার্যক্রমকে তুলে ধরতে হবে।”
দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশে কাজ করার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, কেউ যাতে ছদ্মাবরণে ও চতুরতার সাথে আমাদের ইতিহাসকে বিকৃতি করতে না পারে সেজন্য এই টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।”সামনে দ্বাদশ নির্বাচন। গণতন্ত্র, উন্নয়ন এবং মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসীদের জন্য এটি একটি এসিড টেস্ট। তাই গণমাধ্যমকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।” দেশ ও জনগণের জন্য কারা অপরিহার্য এবং কোন ধারার জনপ্রতিনিধি আবশ্যক তা ঠিক করতে এবং জনমত তৈরিতে গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং রাষ্ট্রপতির সচিবগণ, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও অ্যাটকোর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী এবং ডিবিসি নিউজের চেয়ারম্যান ও অ্যাটকোর সহ-সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল চৌধুরী ১১-সদস্যের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
অ্যাটকো সভাপতি সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রম রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
