২৫শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ মঙ্গলবার শরৎকাল

চট্টগ্রামে গণহত্যা দিবস জাতির বিবেকবান হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয় : সিটি মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, নব্বইয়ের স্বৈরাচার পতনের মাত্র দুইবছর আগে বীর চট্টল্লার মাটি রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল। সেদিন বীর শহীদদের অপরাধ ছিল স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠা গণতন্ত্র কামী জনতার সমাবেশে তারা অংশ নিয়েছিল। স্বৈরাচারী এরশাদ ভেবেছিল জনতার রক্তে থমকে যাবে সকল প্রতিরোধ। কিন্তু মাত্র দুই বছরের মাথায় তাকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করেছিলো দামাল জনতা। ২৪জানুয়ারী তাই যতবার আসে ততবারই জাতির বিবেকবান হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। সেদিনের ভয়াবহতা ও মানুষের আহাজারী কখনো স্মৃতি থেকে মুছে যাওয়ার মত নয়। যারা সেদিন বুকের তাজা রক্ত ঢেলে আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেছিলো দীর্ঘ ৩৩বছর পর তাদের বিচারের রায় ঘোষিত হয়েছে। আদালত রায়ে এটাকে পরিকল্পিত গণহত্যা বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম কোর্টহিল চত্ত্বরে ১৯৮৮সনের ২৪জানুয়ারি জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রাণ নাশের প্রচেষ্টায় সংগঠিত ঐতিহাসিক চট্টগ্রামের গণহত্যা দিবসে শহীদ বেদীতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি একথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, অধ্যাপক মো. ইসমাইল, হাসান মুরাদ বিপ্লব, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, শৈবাল দাশ সুমন, আতাউল্লাহ চৌধুরী, মো. ইলিয়াছ, গোলাম মো. জোবায়ের, নূর মোস্তফা টিনু, সংরক্ষিত কাউন্সিলর নীলু নাগ, আঞ্জুমান আরা, শাহীন আক্তার রোজী প্রমুখ।
মেয়র আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন, চেষ্টা হয়েছে বারবার তাকে হত্যা করার। তার সাহসিকতা ও দৃঢ় সংকল্প তাকে আজ অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। দীর্ঘ ৩৪বছর আগের এই ঘটনায় ২৪জন মূহুর্তের মধ্যে নিহত হন এবং ২শতাধিক নেতা কর্মী আহত হন এটি ছিলো গণহত্যা। তাঁর ত্যাগ তিতিক্ষা, কঠিন অধ্যবসায়, অবিচল নিষ্ঠা ও দৃঢ় সংকল্পে আজ বিশ্বে বাংলাদেশ এক আলোচিত নাম। মানবিক, উন্নয়নশীল ও অসীম সম্ভাবনার দেশ এবং উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত। তিনি শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি বয়ে চলেছেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন এবং তার দায়ভার। আগামী ২০৪১সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরের জন্য তিনি দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। মেয়র বর্তমান করোনার নতুন ধরণ ওমিক্রণ সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় সকলকে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে এবং ভ্যাক্সিন গ্রহণ করে নিজে ও অন্যের সুরক্ষার বিষয়ে পরামর্শ দেন।