১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শনিবার বসন্তকাল

বাংলাদেশকে একটি ডামি রাষ্ট্র বানানোর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা কার্যকর করা হচ্ছে : রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভারতের জনগণের সঙ্গে আমাদের কোনো দ্বন্দ্ব নেই। তবে দেশটির শাসকদের নীতি নিয়ে আমাদের আপত্তি আছে। তাই ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক মুখে দুই কথা বলেন। তার দ্বৈততার মধ্যেই প্রকৃত সত্য বের হয়ে আসে। এক সমাবেশে তিনি (ওবায়দুল কাদের) বলেছেন-‘আমাদের সরকারকে কোনো বিদেশি শক্তি বসায়নি।’ অন্য জায়গায় বলেছেন-‘নির্বাচনে ভারত জোরালোভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে, এটি জরুরি ছিল।’ রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে সুষ্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়-ভারতের সহযোগিতায় বিনা ভোটে তামাশার নির্বাচনের মাধ্যমে তারা আবারও ক্ষমতা দখল করেছেন। ভারতের প্রতিভূ হয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এক সর্বনাশা কর্তৃপক্ষে পরিণত হয়েছেন। উদ্ভট ও নিষ্ঠুর খামখেয়ালি রাজার মতো ভারতকে খুশি করতে তিনি (শেখ হাসিনা) ব্যস্ত রয়েছেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ভারতের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের আওতার মধ্যে ঠেলে দিচ্ছেন। বাংলাদেশকে একটি ডামি রাষ্ট্র বানানোর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা কার্যকর করা হচ্ছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাদের কথায় স্পষ্ট আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস জনগণ নয়, ভারত। আওয়ামী লীগ এখন ভারতীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে। যা স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বার্থ ও মর্যাদার পরিপন্থি। লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার আঙ্গোরপোতা-দহগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশি যুবক
এ বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ২২ জানুয়ারি বিজিবি সদস্য সিপাহী মোহাম্মদ রইসুদ্দিনকে বিনা উসকানিতে গুলি করে হত্যা করেছে বিএসএফ। সীমান্তে অব্যাহত নির্মম হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ তো দূরের কথা টু শব্দ পর্যন্ত করার সাহস দেখাতে পারেনি ‘আওয়ামী ডামি সরকার’। উলটো ভারতের তোষামোদিতে মন্ত্রীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
রিজভী বলেন, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) হিসাবে ২০২৩ সালে বিএসএফ ৩০ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে। ৩১ জন বাংলাদেশিকে পঙ্গু করে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইনে একটি দেশ অন্য দেশের নিরস্ত্র নাগরিককে হত্যা করতে পারে না। এমন ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে সে দেশের আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান থাকলেও বিএসএফের ক্ষেত্রে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না।