তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, আমরা গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা চাই, অপতথ্যকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে চাই। আমরা দিন শেষে চাই গুজব বা রিউমারমুক্ত গণমাধ্যম, যেখানে তথ্যের অবাধ প্রবাহ থাকবে। সরকার বা অথরিটিকে অবশ্যই প্রশ্ন করা যাবে, উত্তর দেওয়ার সুযোগ থাকবে এবং সমালোচনারও জায়গা থাকবে। আজ সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টেলিভিশন ওনার্স এসোসিয়েশন-এটকো’র সাথে মতবিনিময় সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রথম কেবিনেট মিটিংয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন অনেক ক্ষেত্রে সমালোচনা হবে, কিছু কিছু সমালোচনা হবে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে, সেগুলো জেনে শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তিনি চান সমালোচনা হোক সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সরকারের বিভিন্ন অধিদপ্তর বা মন্ত্রণালয়ের কাজ নিয়ে যদি কোনো বিচ্যুতি বা ব্যর্থতা থাকে সেটার সমালোচনা হতে পারে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা ব্যক্তিবর্গের এ সংক্রান্ত জবাবগুলো গুরুত্বসহকারে মিডিয়াতে প্রকাশ করতে হবে যাতে জনগণ সঠিক তথ্য পায়। আলী আরাফাত বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে এক ধরণের অপচেষ্টা চলে। গত ১৫ বছরে গণমাধ্যমের যে বিস্তৃতি ঘটেছে সেখানে কীভাবে প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো যায় এবং শৃঙ্খলা আনা যায় সেই চেষ্টা করতে হবে। প্রথমেই সতর্ক থাকতে হবে, আমরা যেমন অপতথ্যকে নির্মূল করতে চাই, জবাবদিহিতার আওতায় আনতে চাই কিন্তু সেটি করতে গিয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সেখানে যেন ওভারস্টেপ না হয়। তবে দেশ, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত, মুক্তিযুদ্ধ এবং ত্রিশ লক্ষ শহিদের নিয়ে কোনো বিতর্ক থাকতে পারে না। এগুলো দেশবিরোধী কর্মকান্ড। আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে সমালোচনার স্পেস রেখে কীভাবে একসাথে কাজ করা যায় সেই চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
