লোহাগাড়া থেকে মোঃইউসুফ:- আসন্ন ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। চট্টগ্রাম-১৫ আসনে সর্বমোর্ট প্রার্থী ৭ জন। উক্ত আসনের অন্তর্ভূক্ত দুই উপজেলার মধ্যে লোহাগাড়া উপজেলা উক্ত আসনেরএকটি অংশ। এই উপজেলায মোট ভোটারসংখ্যা ২ লক্ষ ২৩ হাজার ৬শত ২৬জন। তন্মধ্যে পুরুষ ১ লক্ষ ১৯ হাজার ১শত ৮জন এবংমহিলা ১লক্ষ ৪ হাজার ৫শত ১৮ জন। মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৬৭ টি এবং বুথ সংখ্যা ৫শত ৭টি। আবার সাতকানিয়াসহ দুই উপজেলার মোট ভোটরসংখ্যা ৪ লক্ষ ৫৮ হাজার ৪শত ১১ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ২ লক্ষ ৪৪ হাজার ৭শত ৯জন এবংমহিলা ২লক্ষ ১৩ হাজার ৭শত ২জন।
প্রার্থী ৭ জন হলেন যথাক্রমে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক প্রার্থী বিদায়ী সাংসদ প্রফেসর ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজা মুদ্দীন নদভী, মনোনয়ন বঞ্চিত বিদায়ী সাতকানিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম.এ মোতালেব সিআইপ। অন্য প্রার্থীরা হলেন জাপা’র লাঙ্গল প্রতীকের মোঃ ছালেম, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট’র মোমবাতি প্রতীকের মুহাম্মদ আলী হোসাইন , বাংলাদেশ কল্যাণপার্টি’র হাত ঘড়ি প্রতীকের মুহাম্মদ সোলাইমান কাসেমী, ইসলামী ঐক্যজোট মিনার’র প্রতীকের মোহাম্মদ হারুন ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট’র ছড়ি প্রতীকের জসিম উদ্দীন।
অত্র উপজেলার নির্বাচনী প্রচারণায় জনপদগুলো সরব। গণসংযোগ, উঠান বৈঠক ও মিছিলে মুখরিত পাড়া-মহল্লা ও হাট-বাজার এলাকাসমূহ। বিশেষ করে নৌকা প্রতীক প্রার্থী বিদায়ী সাংসদ ড.নদভী ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা এম.এ মোতালেব সিআইপি এই দু’প্রার্থীর প্রচারণা জমজমাট। অন্য ৫ প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা তেমন দৃশ্যমান নয়। তাঁরা এলাকার সাধারণ জনগণের অপরিচিত বলে ভোটারদের কেউ কেউ মন্তব্য করেন।
এলাকার নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন নৌকা প্রতীক ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী। এই দু’প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা দৃশ্যমান। সার্বক্ষণিক ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এই দু’প্রার্থীর সমর্থক ও কর্মীরা। দু’প্রার্থী আওয়ামীলীগ সমর্থিত হওয়ায় উপজেলার আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা দ্বিধা-বিভক্ত এবং পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের অবস্থান ও অনুরূপ। যে কারণে উভয় প্রার্থীর মধ্যে দ্বিমুখী নির্বাচনী লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি।
উপজেলার সর্বত্র মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন নৌকা প্রতীক প্রার্থী ড.নদভী ও ঈগল প্রতীক প্রার্থী এম.এ. মোতালেব ও তাঁদের পক্ষের নেতা-কর্মীরা। ভোটারদের মধ্যে কেউ কেউ বলছেন তাঁরা প্রতীক দেখে ভোট দেবেন। আবার, অন্যরা বলেছেন তাঁরা মনের মানুষ বাছাই করে ভোট দেবেন। অন্য একটি পক্ষ বলছেন তাঁরা নীতি বিসর্জন দিয়ে স্বার্থের বিনিময়ে ভোট দেবেন। এরপর ও হিসাব-নিকাশে দেখাযাচ্ছে জামায়াত, বিএনপি ও এলডিপি পক্ষের ভোটারেরা কোন ঝুঁকে পড়বেন। প্রচার-প্রচারণায় এই তিন দল নির্বাচন বর্জনকারী। এরপরও স্থানীয় পর্যায়ে অনেককে অপ্রকাশ্যে প্রার্থীর পক্ষে মন্তব্য করতে দেখা গেছে। পাশাপাশি রয়েছে সংখ্যাল ঘুসম্প্রদায়ের ভোটারেরা। নির্বাচনে তাঁরা কোন প্রার্থীর পক্ষ অবলম্বন করবেন তা সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে প্রতীয়মান হচ্ছে, নির্বাচনী পরিবেশ এবং জামায়াত, বিএনপি, এলডিপি ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটারদের সমর্থন প্রার্থীর বিজয়কে নিশ্চিত করবে বলে নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
