২৩শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ রবিবার শরৎকাল

ক্ষমতাসীনরা নিজেদেরই ছায়া-কায়ার বিরুদ্ধে ভোট-যুদ্ধ খেলায় মেতেছে : মুসলিম লীগ

ক্ষমতাসীনরা নানা নাটকীয়তা শেষে নিজেদেরই ছায়া-কায়ার বিরুদ্ধে ভোট-যুদ্ধ খেলায় মেতে উঠেছে। এ ধরনের পাতানো, এক তরফা ও সাক্ষীগোপাল প্রার্থীতে ভরপুর নির্বাচনের সাথে সাধারণ মানুষের কোন সম্পর্ক নেই। জনগণের প্রত্যাখ্যানে ইতিমধ্যেই এই নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। এই সাজানো নির্বাচন ক্ষমতাসীনদের ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের মত আরেকটি কলঙ্ক তিলক উপহার দেয়া ছাড়া আর কিছুই দিতে পারবে না। ২৪ ডিসেম্বর বেলা ১১.০০টায় বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মো: জমির আলীর ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মুসলিম লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় ও জমির আলী স্মৃতি সংসদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ মুসলিম লীগ মহাসচিব ও জমির আলী স্মৃতি সংসদের সভাপতি কাজী আবুল খায়েরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় আরও অংশগ্রহণ করেন সাবেক মন্ত্রী বিএলডিপির সভাপতি নাজিমুদ্দিন আল আজাদ, মুসলিম লীগ স্থায়ী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, এ্যাড আফতাব হোসেন মোল্লা ও সৈয়দ আব্দুল হান্নান নূর, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডঃ হাবিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা কাজী এ.এ কাফী, খান আসাদ, শেখ এ সবুর, খোন্দকার জিল্লুর রহমান, ইঞ্জি: ওসমান গনী, সৈয়দ আনিসুজ্জামান সিদ্দিকী, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে.এম রকিবুল ইসলাম রিপন, ইসলামী সমাজতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান, বিআরপি সভাপতি বজলুর রহমান আমিনী প্রমুখ।
সাবেক মন্ত্রী বিএলডিপির সভাপতি নাজিমুদ্দিন আল আজাদ এই প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে সর্বদলীয় সংলাপ আহ্বান করে ক্ষমতাসীনদেরকে গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসার আহবান জানান। সভাপতির বক্তব্যে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মুসলিম লীগ মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের বলেন, ক্ষমতাসীন দল ও নির্বাচন কমিশনের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিতব্য এই প্রহসনের নির্বাচন নিয়ে জনগণের উৎসাহ-আগ্রহ-উদ্দীপনা কিছুই নেই, তারা এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। মুসলিম লীগের শতাধিক বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে আগাম বলে দেয়া যায়, জানুয়ারির ০৭ তারিখ ভোটার শূন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের ছবি একদিকে যেমন ইতিহাসে গণতন্ত্রেও পক্ষের প্রামাণ্য দলিল হয়ে থাকবে, অন্যদিকে তেমনি এই গণতন্ত্র বিনাশী নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদেরও যথাসময়ে ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে। ইতিহাস মীরজাফরদের ক্ষমা করেনা। সভা শেষে মরহুম জমির আলীর স্মৃতিচারণ পূর্বক তার রুহের মাগফেরাত ও মুসলিম উম্মাহর সাফল্য কামনা করে দোয়া করা হয়।