১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শুক্রবার বসন্তকাল

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ধর্মীয় নেতাদের অ্যাডভোকেসী সভা

নগরীর সিনেমা প্যালেস সংলগ্ন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও মোকাবেলায় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ধর্মীয় নেতাদের সাথে অ্যাডভোকেসী সভা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মোঃ মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ হোসাইনের সঞ্চালনায় সম্মেলন কক্ষে ইউনিসেফ’র সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. সুমন বড়–য়া, ইউনিসেফ’র নিউট্রিশন অফিসার ডা. উবাসুই চৌধুরী, হেলথ অফিসার ডা. মোঃ দেলোয়ার হোসেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক ইনায়েত হোসেন, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষ, কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদেও যুগ্ম সম্পাদক শ্যামল পালিত, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক রিংকু কুমার শর্মা, বৌদ্ধ ধর্মীয় ট্রাস্টের প্রচার সম্পাদক প্রণব রাজ বড়–য়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. ইফতেখার আহমদ। মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ডেঙ্গু পরিস্থিতির বর্তমান অবস্থা ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ধর্মীয় নেতাদের করণীয় বিষয়ে উপস্থাপনা করেন ইউনিসেফ’র এসবিসি অফিসার মোঃ আবদুল জলিল। সভায় অংশকারীগণ নিজ নিজ অবস্থান থেকে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান, মাহফিল, নামাজের খুৎবা ও এবাদতের সময় ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও মোকাবেলায় জনসচেতনতামূলক আলোচনার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় ইউনিসেফ’র প্রতিনিধিগণ বলেন, ডেঙ্গুসহ নতুন নতুন যে কোন সংক্রমণে ইউনিসেফ’র সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। সরকারের বিভিন্ন বিভাগের সাথে যৌথভাবে সহায়তা প্রদান করবে।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রাম জেলা ও নগরীর ডেঙ্গুর অনাগত বিস্তার এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সকলের সার্বিক সহযোগিতায় একযোগে সমন্বয় করে জনগণকে আরও সচেতন করে তুলতে হবে। জনগণকে সম্পৃক্তকরণ ও সচেতন করে তুলতে পারলে যে কোন নতুন নতুন রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। ডেঙ্গু প্রতিরোধসহ সরকারের প্রতিটি সেবামূলক কাজে ইউনিসেফ সহায়তা প্রদান করায় ইউনিসেফকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
সভায় মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনগণকে ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতন করার আশ্বাস প্রদান করেন।