সভা সমাবেশের ওপর সংবিধান বিরোধী নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে মুখে কালো কাপড় বেঁধে বাম গণতান্ত্রিক জোট, চট্টগ্রাম জেলা শাখার বিক্ষোভ সমাবেশ নগরের সিনেমা প্যালস চত্বরে বিকাল ৪টয় অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাম গণতান্ত্রিক জোট, চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার ইনচার্জ আল কাদেরী জয়। বাসদ সদস্য আহমদ জসিম এর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অশোক সাহা, বাসদ(মার্কসবাদী) চট্টগ্রাম জেলার সদস্য সচিব শফিউদ্দিন কবির আবিদ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার দেশে এক চরম দুঃশাসন জারি রেখে একতরফা ভাগাভাগি ও পাতানো নির্বাচনের আয়োজন করছে। সরকার যে কোন মূল্যে ক্ষমতায় থাকার জন্য ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মত আরেকটি গ্রহসনের নির্বাচন করতে মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এধরনের একতরফা নির্বাচন আয়োজন দেশকে চরম রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক-সামজিকভাবে মহাবিপর্যয় ও সংঘাতের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা ও নিরাপত্তা এখন চরম হুমকির মুখে। বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ ক্রমাগত বাড়ছে। একদিকে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতি ও লুটেরা সেন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যে শ্রমিক কৃষকসহ নিম্নআয়ের আপামর জনগণের প্রাণ ওষ্ঠাগত। কোথাও গণতান্ত্রিক আইনের শাসন ও জবাবদিহিতা নেই। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রের সকল সংস্থা ও সাংবিধানিক সংস্থাসমূহের দলীয়করণের মাধ্যমে জনগণের ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সভা-সমাবেশ ও মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকারকে কেড়ে নিয়ে দেশে ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন কায়েম করা হয়েছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উপর দমন-পীড়ন, হামলা-মামলা, গণগ্রেফতার, সাজা প্রদানের মধ্যদিয়ে দেশে এক ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। এসবই করা হচ্ছে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী, দুঃশাসনকে দীর্ঘস্থায়ী করার লক্ষ্যে। অপরদিকে শেখ হাসিনার সরকার জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে গিয়ে দেশকে সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যবাদী বৈদেশিক শক্তির ভূরাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কবলে ঠেলে দিয়ে ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনছে।
