নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন ঈদুল আযহায় কোরবানির পশুর চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের ও ভোজ্য লবণের নিয়ন্ত্রণে মাঝিরঘাটে সল্ট মিল এলাকায় আজ ২৭ জুন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তৌহিদুল ইসলাম ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হুসাইন মুহাম্মদ।
সম্প্রতি লবণের দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম মাঝিরঘাটে সল্ট মিল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। লবণ উৎপাদন, মজুদ নিয়ন্ত্রণ ও বাজারজাতকরণ মনিটরিং এর সাথে জড়িত সরকারি সংস্থা বিসিক চট্টগ্রাম অঞ্চলের ডিজিএম নিজাম উদ্দিন অভিযানে উপস্থিত ছিলেন। মাঝিরঘাটে অবস্থিত ৩৭ টি লবণ মিল পরিদর্শন করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে পরিলক্ষিত হয় যে, বাজারে পর্যাপ্ত লবণ মজুদ আছে। অধিকাংশ মিল মালিক জানান যে, কক্সবাজারের মাঠ পর্যায় থেকে আরো বেশি পরিমাণে অপরিশোধিত লবণ (ঈৎঁফব ঝধষঃ) এর পরিবহণ প্রয়োজন। এখানে উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশে রেকর্ড পরিমাণ ২২ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদিত হয়েছে যা পুরো দেশের চাহিদার প্রায় কাছাকাছি পরিমাণ। এরপরেও মাঝিরঘাটের সল্ট মিল এলাকার লবণ কারখানা গুলোর মিল গেইটে লবণের দাম বিগত ২০২২ সালের তুলনায় বস্তাপ্রতি (৫০ কেজির বস্তা) ১০০-১৫০ টাকা বেশি৷
অভিযানে উপস্থিত বিসিক,চট্টগ্রাম অঞ্চলের ডিজিএম নিজাম উদ্দিনের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কক্সবাজারে মাঠ পর্যায়ে এখনো এ মৌসুমে পড়ে থাকা ৬.৫ লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত লবণ নিয়মিতভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিবহনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন।
অভিযানে কবির সল্ট মিল, মেসার্স মালেক সন্স, মদিনা সল্ট সহ প্রায় ১৫ টির মতো সল্ট মিল পরিদর্শন করা হয়েছে।
