১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শনিবার বসন্তকাল

মাদক,সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স : পেয়ারুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম বলেছেন, এ এলাকা অতি শান্তপ্রিয়। কখনো অশান্তি সৃষ্টি হয়নি। কখনো লাশ পড়েনি। আমি কোন অস্ত্রধারি সন্ত্রাসীকে প্রশ্রয় দিইনি। কিন্ত বর্তমানে কিছু লোক মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে। এই এলাকার মানুষ তা কখনো হতে দেবে না।
তিনি বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার থেকে বরাদ্ধ এনে আমি ফটিকছড়িতে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছি। যার সুফল ফটিকছড়িবাসি ভোগ করছে। আমার আন্দোলন মাদক,সন্ত্রাস,চাঁদাবাজি ও অবৈধ অস্ত্রবাজের বিরুদ্ধে। এদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন,মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজরা দেশ ও জাতির শত্রু। তাদের কারণে জাতি ও সমাজ ধ্বংস হয়ে যায়। দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হলে মাদক কারবারি,সন্ত্রাসী,চাঁদাবাজদের প্রতিরোধ করতে হবে। এটা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়,এজন্য জনগণকে সচেতন হতে হবে। আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে,জনগণ এগিয়ে আসলে তারা পালাতে বাধ্য। মাদক নির্মূল ও মাদকের কুফল থেকে জাতিকে রক্ষা করতে আপনাদের শপথ নিতে হবে। আপনারা সচেতন হলে দেশ মাদকমুক্ত হবে।
আজ ২২ জুন ফটিকছড়ি কিপাইতনগর স্কুল মাঠে সচেতন নাগরিক সমাজ আয়োজিত মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, তরুণ, ছাত্র সমাজ ও যুব সমাজ দেশের সম্পদ। তাই তাদের রক্ষা করতে ইয়াবাসহ মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা প্রয়োজন। সন্তানদের প্রতি অভিভাবকদের বেশি করে দায়িত্বশীল হওয়ার পাশাপাশি তাদের খোঁজখবর রাখতে হবে।ইয়াবা কারবারি,সন্ত্রাসী,চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। তিনি ইয়াবা কারবারি,সন্ত্রাসী,চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
তিনি এলাকাবাসির উদ্দেশে বলেন,অপরাধী কখনো কারো আপন হতে পারে না। তাদের যেখানে পাবেন সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ করুন। দেখবেন ওরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। একটি চক্র তাতে হিংসান্বিত হয়ে দেশকে পেছনে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু জনগণ তা কখনো হতে দেবে না। তাদের প্রতিহত করবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শোয়েব আহমদ খান,বিশেষ অতিথি ছিলেন ফটিকছড়ি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ছালামত উল্লাহ চৌধুরী শাহীন,নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র এ কে জাহেদ চৌধুরী, ফটিকছড়ি থানার ওসি (তদন্ত) মো. আরিফ হোসেন।
বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক, বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অহিদুল আলম, জিয়াউল হক জিয়া, ফারুকুল আজম, কাজী মাহমুদুল হক, হারুন অর রশীদ, সোহরাব হোসাইন,দিদারুল আলম, মো. হাসান,মো. এমরান মুহুরী,মো.করিম উদ্দিন, সাহেদা বেগম জেলি,শহীদুল ইসলাম আকাশ,মো.মহিউদ্দিন,খোরশেদ আলম,মাসুদ পারভেজ,জিয়াউল হক জিয়া,. তাফসির চৌধুরী প্রমুখ।
প্রধান অতিথি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) শোয়েব আহমদ খান বলেন,মাদক নিয়ে পুলিশের অবস্থান জিরো টলারেন্স। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। যারা,অপরাধী তাদের সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।তিনি বলেন,আপনাদেরও সচেতন হতে হবে,তথ্য দিতে হবে। তাতে আমাদের সুবিধা হবে। মাদক,সন্ত্রাস,চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আপনাদের সন্তান কোথায় যায়,কার সাথে মিশে তার খোজখবর নিতে হবে।