২৪শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ সোমবার শরৎকাল

ধর্মের নামে সমাজে অসহিষ্ণুতা তৈরির চেষ্টাকে প্রতিহত করার আহবান নওফেলের

অভিষেক চৌধুরী : আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দির আয়োজিত জগন্নাথ দেবের স্মান যাত্রা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ধর্মের নামে সমাজে অসহিষ্ণুতা তৈরির চেষ্টাকে প্রতিহত করার আহবান জানান।
তিনি বলেন, ‘মাজারে যাওয়া নাকি শিরক, তারা আমাদের আধ্যাত্মিক যে স্থানগুলো আছে সেগুলোতে যাওয়া পছন্দ করে না। নিজেদের মনগড়াভাবে তারা ধর্মীয় মতবাদ দেয়। মাজারে মুসলমান যেমন যায়, অন্য ধর্মাবলম্বীরাও যায়। কিন্তু এটা মৌলবাদী গোষ্ঠীর সহ্য হয় না। এই গোষ্ঠীকে আমরা একাত্তর সালে পরাজিত করেছিলাম। স্বাধীন দেশে তারা বিভিন্ন সরকারকে ব্যবহার করে বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিল। কিন্তু এদেশের মানুষ তাদের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে। কারণ কোরআনের কোথাও ইসলামী রাষ্ট্রের কথা লেখা নেই।’
ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ গৌরদাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চসিক কাউন্সিলর মোরশেদ আলম, পুলক খাস্তগীর, নীলু নাগ, রুমকি সেনগুপ্ত, ইসকনের গৌরাঙ্গ প্রেমস্বামী পুন্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস।
বক্তব্যকালে শিক্ষা উপমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে পরিকল্পিতভাবে ধর্মীয় মৌলবাদ, উগ্রবাদ, মানুষে-মানুষে বিভক্তি তৈরির প্রচেষ্টা চলছে। আমার ধর্ম শ্রেষ্ঠ, অন্যের ধর্ম নিকৃষ্ট, আমার ধর্ম ভালো, অন্যের ধর্ম খারাপ- এভাবে গ্রামেগঞ্জে মানুষের বিশেষ করে নারীদের, আমাদের মা-বোনদের মগজ ধোলাই করা হচ্ছে।’ ‘আমার পিতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী আমাদের ছোটবেলা থেকে অসাম্প্রদায়িকতার শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি আমাদের নিয়ে বৃন্দাবন মথুরায় গিয়েছেন। আবার সেখান থেকে আজমির শরিফে খাজা বাবার দরবারে নিয়ে গেছেন। তিনি সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে হজ কাফেলা করেছেন, আবার তীর্থযাত্রীদের জন্য তীর্থসেবা করেছেন। ‘আমি আমার ধর্মীয় বিশ্বাসে অটল থাকব, আরেকজন তার ধর্মীয় বিশ্বাসে অটল থাকবে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু একে অপরের মতবাদকে শ্রদ্ধা করতে হবে, গ্রহণ করতে হবে।’