২৫শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ মঙ্গলবার শরৎকাল

সারা দেশে প্রায় শতভাগ ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হচ্ছে অনলাইনে : ভূমিমন্ত্রী

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, আগামী বছর থেকে ভূমি উন্নয়ন কর বাবদ প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হিসেবে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া সম্ভব হবে। এই অর্থের পরিমাণ ডিজিটাল ভূমি উন্নয়ন কর সিস্টেম স্থাপনের পূর্বে ভূমি কর বাবদ আদায়কৃত অর্থের প্রায় তিন গুণ বা ২০০ শতাংশেরও বেশি।
আজ রাজধানীর গুলশানের এক হোটেলে আয়োজিত বেসরকারি নীতি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর উদ্যোগে ‘বাংলাদেশে সম্পত্তি কর ব্যবস্থার পরিধি ও অবস্থা’ বিষয়ক এক নীতি সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় ভূমিমন্ত্রী জানান, গত ১৪ এপ্রিল থেকে শতভাগ ক্যাশলেস সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে সারা দেশে এখন প্রায় শতভাগ ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হচ্ছে অনলাইনে এবং এই এক মাসেই আদায় হয়েছে ৩২৬ কোটি টাকা। তিনি বলেন, ভূমিকর ব্যবস্থাকে আধুনিক করে গড়ে তোলার জন্য ভূমি উন্নয়ন কর আইনের খসড়া ইতোমধ্যে মন্ত্রিসভায় নীতিগতভাবে অনুমোদন পেয়েছে। খুব দ্রুত এই খসড়া জাতীয় সংসদে আইন প্রণয়নের জন্য পাঠানো হবে। তিনি বলেন, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিকল্পনার কথা মাথায় রেখে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের বর্ষ দেশে প্রচলিত অর্থবছরে (জুন-জুলাই) করার প্রস্তাব করা হয়েছে খসড়া আইনে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন সংলাপ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে সিপিডি ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ‘বাংলাদেশে সম্পত্তি কর ব্যবস্থার পরিধি ও অবস্থা’ শীর্ষক গবেষণা সমীক্ষা বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলের হেড অভ্ কো-অপারেশন মোরিজিও সিয়ান সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ড. নাসিরউদ্দিন আহমেদ, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অভ্ বাংলাদেশ (পিআরআই) এর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান হাবিব মনসুর এবং স্নেহাশিস মাহমুদ অ্যান্ড কোম্পানির পার্টনার স্নেহাশিস বড়ুয়া এফসিএ ।