২১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ শুক্রবার শরৎকাল

পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন-বাপসা’র জনাকীর্ণ মানববন্ধন ও সংহতি সমাবেশ

উত্তম কুমার আচার্য্য : চট্টগ্রাম মহানগরীতে বায়ু ও শব্দ দূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবিতে বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা অন্দোলন-বাপসা’র জনাকীর্ণ মানববন্ধন ও সংহতি সমাবেশ আজ ২২ মার্চ চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে বাপসার কেন্দ্রীয় সভাপতি এম.এ. হাশেম রাজুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে গ্রিন এ্যালায়েন্স বাংলাদেশের আয়োজনে একই দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনের সাথে বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা অন্দোলন-বাপসা’র সকল নেতৃবৃন্দ একাত্মতা প্রকাশ করেন। সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভিসি প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের মহাসচিব এড. এ.এম. জিয়া হাবিব আহসান, দৈনিক পূর্বকোণের সহ-সম্পাদক ও পরিবেশ মানবাধিকার আন্দোলন-পমা’র সাধারণ সম্পাদক আবসার মাহফুজ, রাজনীতিবিদ মো. খোরশেদ আলম, বাপসা চট্টগ্রাম জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু মো. হোসেন চৌধুরী, ইকো ফ্রেন্ডস এর সাধারণ সম্পাদক নোমান উল্লাহ বাহার, বাপসা কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল কালাম বাবু, লায়ন মোহাম্মদ ইউছুপ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম একরাম হোসেন, মো. জানে আলম, মো. ইসমাইল, মো. মাঈনুদ্দিন, মো. মোশাররফ হোসেন, মীর মো. বেলাল উদ্দিন প্রমুখ।
এতে বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীতে বিদ্যমান বায়ু ও শব্দদূষণ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছেছে। উন্নয়ন কর্মকান্ডের অজুহাতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো শর্ত লংঘন করে এবং নাগরিক জীবনের তোয়াক্কা না করে বায়ু দূষণ ঘটাচ্ছে। অপরদিকে অনেক শিল্পকারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়া, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের ধোঁয়া অনব্রত বায়ু ও শব্দদূষণ ঘটিয়ে চলেছে যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে। এভাবে প্রাচ্যের রাণীখ্যাত চট্টগ্রাম আজ হতশ্রী ও বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে চরম উদাসিনতা ও দায়িত্বহীনতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে বলেন, অবিলম্বে বায়ু ও শব্দদূষণ হ্রাসে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় পরিবেশ সংগঠনগুলো নাগরিকদের সাথে নিয়ে বৃহত্তর অন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে। বায়ু ও শব্দ দূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবিতে বাংলাদেশ