২১শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ শুক্রবার শরৎকাল

নগরীকে পরিকল্পিতভাবে সাজানো গেলে চট্টগ্রামের উন্নয়ন দৃশ্যমান হবে : ভারপ্রাপ্ত মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. গিয়াস উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর নগরীকে স্মার্ট সিটিতে রূপান্তর করতে প্রকৌশল বিভাগসহ সকল বিভাগ ও শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তুরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। নগরীর সড়ক উন্নয়ন, আলোকায়ন, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা এবং মশার উপদ্রপ কমাতে চসিক যে কাজগুলো হাতে নিয়েছে, তার সফলতা অর্জন করতে হবে। তিনি পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে যথা সময়ে কোরবানী বর্জ্য অপসারণে প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশনা প্রদান করেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাটালি হিলস্থ নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে চসিক বিভাগীয় ও শাখা প্রধানদের সাথে মতবিনিময়কালে এ আহ্বান জানান।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদ মাহমুদের সঞ্চলনায় এতে আরো উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর গাজী মো. শফিউল আজম, মো. মোরশেদ আলম, আব্দুস সালাম মাসুম, জহুরুল আলম জসিম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকতা লুৎফন নাহার, আইন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন, নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট মারুফা বেগম নেলী, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাসেম, অতি: প্রধান প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু ছালেহ, মনিরুল হুদা, আকবর আলী, ঝুলন কুমার দাশ, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু।
ভারপ্রাপ্ত মেয়র আরো বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়নে যে সকল প্রকল্প চলমান আছে তা দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। বহদ্দারহাট বারই পাড়া থেকে কর্নফুলি নদী পর্যন্ত খাল খননে সরকারী তহবিল থেকে এক হাজার ৩৬২ কোটি টাকা এবং নগরীর রাস্তা, অলি-গলি, নালা এবং এয়াপোর্ট রোড চারলেইনে উন্নীতকরণে ২ হাজার ৫ শত কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সেই প্রকল্প গুলোর কাজ শুরু করতে এখন থেকেই প্রস্তুুতি নিতে হবে। বর্ষা মৌসুমের মধ্যেই দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ করে, বর্ষা শেষ হওয়া মাত্রই যাতে পুরোদমে কাজ শুরু করা যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন সড়কের পার্শে¦ উন্মুক্ত অবস্থায় থাকা বড় নালা-নর্দমা সামান্য বৃষ্টি হলেও সড়কের সঙ্গে একাকার হয়ে যায় সে স্থান গুলো চিহিৃত করে বেষ্টনী দেয়াসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে উন্নয়নের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ, বে-টামিনাল নির্মাণ, চট্টগ্রাম হতে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইন চালু, গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ ও মীরশরাইতে অর্থনৈতিক জোন তৈরী করা হচ্ছে। এই প্রকল্প গুলো কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। চট্টগ্রামকে ঘিরে যে সকল উন্নয়ন কাজ হচ্ছে তা সমাপ্ত হলে চট্টগ্রাম হবে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক হাব। সে বাস্তবতায় চট্টগ্রাম নগরীকে সাজানো না গেলে চট্টগ্রামের উন্নয়ন দৃশ্যমান হবে না।