১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শনিবার বসন্তকাল

বিএসপি ফুডের অজিত কুমার দাশ অর্থদন্ডে জামিন মঞ্জুর

দীর্ঘদিন ধরে চলমান ভেজাল ঘি, ভোগ্যপণ্য বিক্রি বিএসপি ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অজিত কুমার দাশ ও তার কোম্পানীর। তিনি আবার বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃত্বও প্রদান করে থাকে। সে নেতা ও তার কোম্পানীতে অভিযান চালিয়ে ১৩ জানুয়ারি কালুরঘাট বিসিক শিল্প নগরের বিএসপি ফুড কারখানা থেকে ভেজাল ঘি জব্দ করে র‌্যাব-৭। অভিযানে ৩ হাজার ৩৬০ কেজি ভেজাল ঘি, বিপুল পরিমাণ নিম্নমানের বিষাক্ত ফ্লেভার, পাম ওয়েল, ডালডাসহ কারখানাটির জেনারেল ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম নিজামকে আটক করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ ফেব্রুয়ারি মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, আমলীয়, শরিফুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং মুচলেকায় জামিনের মঞ্জুর পায় অজিত কুমার দাশ।
উল্লেখ্য যে, কালুরঘাট বিসিক শিল্প এলাকায় বেশ বড় কারখানা রয়েছে বিএসপি ফুডের। ওই কারখানায় কুকমি ঘি ছাড়াও বানানো হচ্ছে কুকমি গার্লিক টোস্ট বিস্কুট, ডরিমন বিস্কুট, কুকমি স্পেশাল টোস্ট বিস্কুট, মিল্ক কোকোনাট বিস্কুট, বিএসপি টোস্ট, বিএসপি পটেটো ক্রেকার্স, বিএসপি ড্রাই কেক, সয়া সস্, হট টমেটো সস্, বিএসবি মিস্টার টুইস্ট, বিএসবি চিকেন চিপস, কমপ্লান, নাটি মিল্ক বিস্কুট, কোকমি হরলিক্স, বিএসপি পেনাট, বিএসপি চানাচুর, ভিনেগার, বিএসপি ঘি, চকলেটসহ হাজারো ভোগ্যপণ্য তৈরি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ও বিষাক্ত কাঁচামালে। এছাড়া বিএসটিআইয়ের গুণগত মান পরীক্ষা না করেই পণ্যগুলো বাজারজাত করছে বিএসপি ফুড। এ কারণে তাদের একাধিকবার জরিমানাও গুণতে হয়েছে। একের পর এক জরিমানার পরও শোধরায়নি বিএসপি। ২০২২ সালের দুটি মামলাসহ প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা গুণতে হয়েছে ৬৫ হাজার টাকা।