২৫শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ মঙ্গলবার শরৎকাল

বাংলাদেশ-ফ্রান্স সম্পর্ক জোরদারে প্রধানমন্ত্রীর আশাবাদ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত নভেম্বরে তার ফ্রান্স সফরের ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন আগামী দিনগুলোতে দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও জোরদারের বিষয়ে তিনি আশাবাদি। শেখ হাসিনা বলেন, গত নভেম্বরে তাঁর ফ্রান্স সফরের আলোচনা এবং ফলাফল নিয়ে তিনি সত্যিই খুব খুশি এবং আগামী দিনগুলোতে এই সম্পর্কের গতি বজায় থাকার বিষয়ে তিনি আশাবাদি। আজ সরকারি বাসভবন গণভবনে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জিন-মারিন শুহ তাঁর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এ অভিমত ব্যাক্ত করেন।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। প্রধানমন্ত্রী গত নভেম্বরে প্যারিস সফরে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান। আলোচনায় শেখ হাসিনা বলেন, ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্ধন রয়েছে। ফ্রান্স সরকার ও জনগণ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সমর্থন করেছিল।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, তার সরকার কোভ্যাক্সের অধীনে ১ দশমিক ২ মিলিয়ন কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে।
ফরাসি রাষ্ট্রদূত বলেন, ফ্রান্স আগামী ফেব্রুয়ারিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সভাপতিত্ব নিতে যাচ্ছে এবং একই মাসে এই অঞ্চলের দেশগুলির সাথে একটি ইন্দো-প্যাসিফিক শীর্ষ সম্মেলন করতে চলেছে। ইন্দো-প্যাসিফিক সামিটে তারা বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানাবেন। ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি যৌথ ইশতেহার স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা দেশগুলোর সম্পর্কের অনেক দিককে কভার করেছে। ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। কোভিড-১৯-এর প্রভাব সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সব দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ‘আমাদের বিপুল সংখ্যক জনসংখ্যা রয়েছে এবং মহামারী সত্ত্বেও আমরা আমাদের অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে তার ফলপ্রসূ কার্যকালের জন্য প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশ-ফ্রান্স সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে তাঁর গতিশীল ভূমিকার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী আফগানিস্তানে ফ্রান্সের বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান। জিন-মারিন শুহ ঢাকায় দায়িত্বপালনকালে সরকারের সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রদূত গত বছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করে বলেন, মহামারীর সময়েও প্রবৃদ্ধি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। ফরাসি রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রামে অ্যালায়েন্স ফ্রান্সিস সম্প্রসারণ করতে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ।