চূড়ান্ত খসড়া গঠনতন্ত্র
১. সংগঠনের নাম :
(ক) ২০০৯ সালের ১৩ আগস্ট প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনের নাম ‘সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা (আরডিজেএ) যা ইংরেজিতে (Rangpur Division Journalists Association, Dhaka (RDJA)|
২. সংগঠনের কার্যালয় ও গঠনতন্ত্রের ভাষাঃ
সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও প্রধান কার্যালয় হবে রাজধানী ঢাকায়। সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা এবং শৃঙ্খলা রক্ষায় একটি পূর্ণাঙ্গ গঠনতন্ত্র থাকবে, যা বাংলা ভাষায় লিখিত হবে।
৩. সংগঠনের কার্যক্রম এলাকা :
রাজধানী ঢাকা এবং রংপুর বিভাগের আটটি জেলা এই সংগঠনের মূখ্য কার্যক্রমের এলাকা। দেশ এবং দেশের বাইরে অন্যান্য দেশের সংগঠনের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা বিনিময়ের মাধ্যমে এই সংগঠন কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে।
৪. সংগঠনের মনোগ্রাম
রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকার একটি মনোগ্রাম থাকবে, যা লাল ও সবুজের সমন্বয়ে গোলাকৃতির হবে। এতে কালো অক্ষরে সংগঠনের নাম লেখা এবং মাঝখানের লাল সূর্যের ওপর সাদা রঙ্গেও কলম থাকবে। মনোগ্রামে বাংলায় ‘রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা’ লেখা থাকবে।
৫. রংপুর বিভাগ সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা’র (আরডিজেএ) আদর্শ ও লক্ষ্য :
এটি একটি আঞ্চলিক, বেসরকারি, অরাজনৈতিক, অলাভজনক, গবেষণাধর্মী ও জনকল্যাণমুলক সংগঠন। এর যাবতীয় আয় সংগঠনের নিম্নলিখিত আদর্শ ও লক্ষ্য বাস্তবায়নে ব্যয় হবে।
(ক) বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় কর্মরত সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা, অনলাইন ও ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের সাংবাদিক, যারা এই সংগঠনের সদস্য হবেন, তাদের পেশাগত মানোন্নয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি, কল্যাণ সাধন ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া।
(খ) সদস্যদের কল্যাণে এক বা একাধিক স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রকল্প বাস্তবায়নে একটি তহবিল গঠন করা এবং সংগঠনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য বাস্তবায়নে তহবিলের অর্থ ব্যয় করা।
(গ) রংপুর বিভাগের আটটি জেলার (রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও) বিভিন্ন আঞ্চলিক ও সামাজিক সমস্যা ও বঞ্চনাগুলো অনুসন্ধানের মাধ্যমে তুলে এনে কেন্দ্রীয়ভাবে সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখা।
(ঘ) সমস্যার পাশাপাশি এলাকার সম্ভাবনাগুলো চিহ্নিত করতে এবং এগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরার প্রয়োজনে সাংগঠনিক কর্মসূচি গ্রহণ এবং বাস্তবায়নে কর্মশালা, সেমিনার ও সফর (ট্যুর) কর্মসূচি আয়োজনের মাধ্যমে সরকারের নজরে আনতে কার্যকর ভূমিকা রাখা।
(ঙ) বিভাগের জেলাগুলোর সমস্যা চিহ্নিত করে তা গণমাধ্যমে প্রকাশ এবং জনসম্মুখে প্রচারের ব্যবস্থা করা।
(চ) সংগঠন একক বা সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সাথে যৌথভাবে পরিচালিত উন্নয়ন ও গবেষণাধর্মী প্রকল্প নিতে পারবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে দেশী ও বিদেশী সাহায্যপুষ্ট সংস্থার সাথে যৌথভাবে কাজও করতে পারবে।
(ছ) যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা দুস্থ্য এলাকাবাসীর কল্যাণে সমিতির পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ অথবা উন্নয়নমূলক কর্মসূচি এবং তা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া যাবে।
৬. তহবিল গঠন :
(ক) সদস্যদের চাঁদা, অনুদান, প্রকাশনা, উন্নয়নমূলক বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে আয় ও দেশী-বিদেশী সংস্থার দেয়া সহায়তার মাধ্যমে এই সংগঠনের তহবিল গঠিত হবে।
(খ) সদস্যদের মাসিক চাঁদা হবে ২০ টাকা। যা প্রতি মাসে অথবা বছরে একবার এককালীন পরিশোধ করা যাবে।
(গ) সংগঠনের একটি ব্যাংক একাউন্ট (হিসাব) থাকবে। যা অর্থ সম্পাদকের সঙ্গে সভাপতি কিংবা সাধারণ সম্পাদকের যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হবে। তবে অর্থ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে জরুরি প্রয়োজনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের যৌথ সাক্ষরে হিসাব পরিচালনা করা যাবে।
(ঘ) সংগঠনের অর্থনৈতিক সকল কর্মকাণ্ড ও আয়-ব্যয়ের হিসাব থাকবে। অর্থ সম্পাদক যাবতীয় আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখবেন এবং সাধারণ সভায় অনুমোদিত অডিট সংস্থার নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রণীত হিসাবের অডিট রিপোর্ট পেশ করবেন। কার্যনির্বাহী কমিটির প্রতিটি সভায় পুর্ববর্তী সময়ের আয়-ব্যয় সম্পর্কে কমিটির সদস্যদের অবহিত ও অনুমোদন করতে হবে।
(ঙ) সদস্যদের কল্যাণে এক বা একাধিক কল্যাণ তহবিল গঠন করা যাবে। সহ-সভাপতিদের মধ্য থেকে একজনকে প্রধান ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদককে সদস্য সচিব করে এ তহবিলের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। অর্থ সম্পাদক এ তহবিলের অন্যতম সদস্য হিসাবে থাকবেন।
৭. সদস্য হতে পারবেন যারা :
ঢাকায় কর্মরত রংপুর বিভাগের সাংবাদিকদের মধ্যে বিভিন্ন সংবাদপত্র, সংবাদ সংস্থা, অনলাইন বা ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমে কর্মরত সার্বক্ষণিক সম্পাদক, প্রকাশক, নির্বাহী সম্পাদক, যুগ্ম-সম্পাদক, উপ-সম্পাদক, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক, বার্তা প্রধান, প্রধান বার্তা সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক, যুগ্ম-বার্তা সম্পাদক, সহকারী সম্পাদক, সহ-সম্পাদক, নগর সম্পাদক, প্রধান প্রতিবেদক, উপ-প্রধান প্রতিবেদক, অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর, বিশেষ প্রতিনিধি, প্রতিবেদক, ফিচার এডিটর ও লেখক, মফস্বল সম্পাদক, নিউজ রুম এডিটর, সংবাদ উপস্থাপক, সংবাদ প্রযোজক, ভিডিও এডিটর, সম্পাদনা সহকারী এবং আলোকচিত্র সাংবাদিক ও ভিডিও সাংবাদিকরা নির্ধারিত ফরম পূরণ করে ও ফি জমা দিয়ে আবেদনের মাধ্যমে এই সংগঠনের স্থায়ী সদস্য হতে পারবেন।
(খ) সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে এরসঙ্গে সঙ্গে বিভিন্নভাবে যুক্ত রয়েছেন, এমন বিভিন্ন গণমাধ্যমের অন্য বিভাগে কর্মরত রংপুর বিভাগের কর্মীরা এতে সহযোগী সদস্য হিসেবে যুক্ত থাকবেন। তবে নতুন করে কোন সহযোগী সদস্য অন্তর্ভূক্ত করা যাবে না। সহযোগী সদস্যরা সংগঠনের অন্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করলেও ভোটাধিকার পাবেন না।
(গ) সহ-সভাপতিদের মধ্যে একজনকে আহ্বায়ক ও সাংগঠনিক সম্পাদককে সদস্য সচিব করে নির্বাহী কমিটির সদস্য অথবা সাধারণ সদস্যদের মধ্যে থেকে পাঁচ সদস্যের একটি সদস্য বাছাই কমিটি থাকবে। এতে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য নির্বাহী কমিটি থেকেই থাকবে। এ কমিটি সদস্য হওয়ার যোগ্য আবেদনকারীদের নামের তালিকা চূড়ান্ত করে একটি প্রস্তাবনা নির্বাহী কমিটিতে উপস্থাপন করবেন। সদস্য পদ দেয়ার ক্ষেত্রে নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
৮. সদস্যপদ বাতিল বা স্থগিত :
(ক) সংগঠনের কোন সদস্য পেশা ত্যাগ করলে তার সদস্য পদ বাতিল কিংবা স্থগিত করা যাবে। তবে পেশায় ফিরে এলে পুনরায় সদস্য পদের জন্য আবেদন করা যাবে।
(খ) কোন সদস্যের বিরুদ্ধে সংগঠনের আদর্শ ও গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজে জড়িত থাকার কোন অভিযোগ উত্থাপিত হলে কার্যনির্বাহী কমিটি সংগঠনের শৃঙ্খলার ভঙ্গের কারণে ওই সদস্যের সদস্যপদ সাময়িক স্থগিত রাখতে পারবে। এক্ষেত্রে নির্বাহী কমিটি বিষয়টি তদন্তের জন্য শৃঙ্খলা উপ-কমিটির কাছে পাঠাবে। শৃঙ্খলা উপ-কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত হলে দোষী সদস্যের সদস্যপদ চূড়ান্তভাবে বাতিল বা স্থগিত করা অথবা সতর্কীকরণ নোটিশ দেয়া যাবে। পরবর্তীতে বিষয়টি বার্ষিক সাধারণ সভায় উত্থাপণ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে।
(গ) সহ-সভাপতিদের মধ্যে একজনকে আহ্বায়ক এবং সাংগঠনিক সম্পাদককে সদস্য সচিব করে নির্বাহী কমিটির সদস্য অথবা সাধারণ সদস্যদের মধ্যে থেকে পাঁচ সদস্যের একটি শৃঙ্খলা উপ-কমিটি গঠিত হবে। নির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় এ কমিটি গঠিত হবে। এতে সদ্য বিদায়ী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা সদস্য থাকবেন। এই কমিটি কোন সদস্যের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এলে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগসহ অভিযোগ তদন্ত করে সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন নির্বাহী কমিটির কাছে জমা দেবে। শৃঙ্খলা কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নির্বাহী কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।