দি সোসাইটি রেজিষ্ট্রেশন এ্যাক্ট, ১৮৬০ (১৮৬০ সালের ২১ নং আইন)

“বাংলাদেশ মানবাধিকার ও পরিবেশ ফাউন্ডেশন”
(Bangldesh Manobadhikar & Poribesh Foundation)

এর

গঠনতন্ত্র

গঠনতন্ত্র ঃ
গঠনতন্ত্র বলতে “বাংলাদেশ মানবাধিকার ও পরিবেশ ফাউন্ডেশন” এর গঠনতন্ত্রকে বুঝাবে।
লক্ষ্য উদ্দেশ্য: এই ফাউন্ডেশন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সংঘস্মারক বর্ণিত রয়েছে।
ফাউন্ডেশন: ফাউন্ডেশন বলতে “বাংলাদেশ মানবাধিকার ও পরিবেশ ফাউন্ডেশন” কে বুঝাবে।
পরিচালনা পরিষদ : পরিচালনা পরিষদ বলতে এ “বাংলাদেশ মানবাধিকার ও পরিবেশ ফাউন্ডেশন” এর পরিচালনা পরিষদ বুঝাবে।

সদস্য পদ : অত্র ফাউন্ডেশণের উদ্দেশ্যবলীর সাথে একমত পোষণকারী এবং তা অর্জনে আগ্রহী যে কোন বাংলাদেশী নাগরিক ফাউন্ডেশণের নির্ধারিত ফরমের মাধ্যমে চেয়ারম্যান/সাধারণ সম্পাদক এর নিকট নিধারিত চাঁদা প্রদান করে সদস্য পদ লাভের জন্য দরখাস্ত করবেন। চেয়ারম্যান /সাধারণ সম্পাদক পরিচালক পর্ষদের সাথে পরামর্শক্রমে সদস্যপদ প্রদান অথবা নামমঞ্জুর করতে পারবেন।

৬.০০ সদস্যের প্রকারভেদ : ফাউন্ডেশণের তিন প্রকার সদস্য হবে

ক. সাধারণ সদস্য: স্থায়ী সদস্য ব্যতিত অন্যান্য সদস্যগণ সাধারণ সদস্য হিসাবে বিবেচিত হবেন ফাউন্ডেশণের উদ্দেশ্যের সাথে একমত পোষণকারী এবং এর নিয়মাবলী মেনে চলতে অঙ্গীকারবদ্ধ যে কোন ব্যক্তি মাসিক ১,৫০০/- (পনেরশত টাকা) অথবা বাৎসরিক ১৮,০০০/- (আঠার হাজার টাকা) চাঁদা প্রদানকারী হলে এবং সংঘস্মারকে বর্ণিত উদ্দেশ্যাবলী মেনে চললে ফাউন্ডেশণের সাধারন সদস্যপদ অর্জনে যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

খ. স্থায়ী সদস্য বা আজীবন সদস্যঃ সংঘস্মারকের স্বাক্ষরকারীগণ আজীবন সদস্য হিসাবে বিবেচিত হবেন যারা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিষদের সদস্য থাকবেন। প্রয়োজনে সাধারঞ্চ সদস্যের মধ্য হতে নির্বাহী পরিষদের সদস্য

নির্বাচনের মাধ্যমে গ্রহণ করা যাবে। যদি কোন ব্যক্তি এককালীন একলক্ষ টাকা দান করেন তবে তিনি আজীবন সদস্য হিসাবে গণ্য হবেন। এই শ্রেণীর সদস্যগণ ফাউন্ডেশণের সাধারণ সভায় উপস্থি থাকতে এবং ভোট দিতে ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। গ) দাতা সদস্য যিনি সর্বনিম্ন ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার টাকা) এককালীন দান করবেন তিনি দাতা সদস্য হিসাবে গণ্য হবেন। এই শ্রেণীর সদস্যগণ ফাউন্ডেশণের সাধারণ সভায় উপস্থিত থাকতে পারবেন না।

৭.০০ ফাউন্ডেশণের ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ :

ক. ফাউন্ডেশণের ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ নির্বাহী পরিষদের ওপর ন্যস্ত থাকবে।

খ. ফাউন্ডেশন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য সাধারণ সদস্যদের মধ্য হতে ৫ (পাঁচ) বছর মেয়াদের জন্য ফাউন্ডেশণের নির্বাহী পরিষদ গঠিত হবে।

গ. নির্বাহী পরিষদের তদারকি করার জন্য স্থায়ী সদস্য ও আজীবন সদস্যদের মধ্য হতে প্রয়োজনে উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হবে।

ঘ. এই ফাউন্ডেশন প্রয়োজনে দেশের বাহিরেও শাখা স্থাপন করতে পারবে। এছাড়া সমস্ত দেশব্যাপী বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায় শাখা কমিটি গঠনপূবর্ক ফাউন্ডেশণের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে/ এর মেয়াদকাল হবে ২ (দুই বৎসর)। ইউনিয়ন/ওয়ার্ড উপজেলা / পৌরসভা / মহানগর / জেলা ও বিভাগীয় কমিটি / কেন্দ্রীয় কমিটির প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে গঠিত হবে। কমিটির সদস্য ও পরিচালনা পরিষদকে অবশ্যই কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক চলতে হবে। জেলা, মহানগর, বিভাগীয় কমিটির চেয়ারমন্যান ও নির্বাহী পরিচালক পদাধিকারবলে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হবেন।

৮.০০ ফাউন্ডেশণের নির্বাহী পরিষদের ক্ষমতা ও দায়িত্ব: ফাউন্ডেশণের নির্বাহী পরিষদ সাধারণভাবে ফাউন্ডেশন সংক্রান্ত সকল বিষয়ে চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী এবং বিশেষভাবে নিম্ন লিখিত কাজগুলো সম্পাদন করবেন:

ক) সাধারণ সভায় উপস্থিত ৩/৫ (তিন পঞ্চমাংশ) সদস্য কর্তৃক অনুমোদন সাপেক্ষে ফাউন্ডেশন সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য ও প্রয়োজনে নিয়মাবলী বিধি-উপবিধি প্রণয়ন, পরিবর্তন, সংশোধন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

খ) ফাউন্ডেশণের স্বার্থে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি খরিদ, বিক্রয়, ভাড়া প্রদান এবং অন্য কোনভাবে বন্দোবস্ত গ্রহণ ও প্রদান অথবা অন্য যেকোন ব্যবদায়, সংস্থায় টাকা বিনিয়োগ করবে।

গ) ফাউন্ডেশণের উদ্দেশ্যবলী অর্জনের লক্ষ্যে সহায়ক বিবেচিত যেকোন ব্যবসায়, সংস্থায় টাকা  বিনিয়োগ করবে।

ঘ) যেকোন তফশীলী ব্যাংকে ফাউন্ডেশণের নামে হিসাব চালু ও তা পরিচালনা করবে।

ঙ) প্রয়োজনে ফাউন্ডেশনের সম্পদ, স্বার্থ, সুনাম অর্জন ও রক্ষার নিমিত্তে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

চ. ফাউন্ডেশণের প্রজেক্ট পরিচালনা ও তত্ত্বাবধানের নিমিত্তে একাধিক উপ-কমিটি গঠন করতে পারবে। তাছাড়া ফাউন্ডেশণের পক্ষ থেকে ফাউন্ডেশণের কাজ সমাধানের জন্য এবং দ্রুত নিষ্পত্তি ও সুষ্ঠু পরিচালনার স্বার্থে ফাউন্ডেশণের ক্ষমতা যেকোন ব্যক্তি, উপ-কমিটি অথবা সংস্থার ওপর ক্ষমতা অর্পণ করবে।

ছ. ফাউন্ডেশণের কর্মচারী নিয়োগ, বাছাই, পরিচালনা ও তত্ত্বাবধান করবে।

জ. ফাউন্ডেশনের স্বার্থে নিবাহী পরিষদ অন্য যেকোন প্রতিষ্ঠান বা প্রজেক্টও দায়িত্ব গ্রহণ করবে।

ঝ. ফাউন্ডেশনটির নির্বাহী পরিষদের কোন সদস্যকে ফাউন্ডেশণের স্বার্থ বিরোধী কাজে জড়িত বা নিয়োজিত পাওয়া গেলে নির্বাহী পরিষদ থেকে তাকে বহিষ্কার এবং তার স্থলে অন্য সদস্যকে নিয়োগ করা যাবে।

ঞ. ফাউন্ডেশণের নির্বাহী পরিষদের কোন সদস্য পরলোক গমন বা পদত্যাগ করলে এবং অন্য কোন কারণে বহিষ্কার হলে তার স্থলে অন্য সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা যাবে। ফাউন্ডেশনের স্বার্থে চেয়ারম্যান/মহাসচিব যেকোন প্রকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে এবং সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

৯.০০ তহবিল: আয়সমূহ:

ক. ফাউন্ডেশণের সদস্যদের নিকট থেকে অনুদান ও সদস্য ফি গ্রহন, মহৎ ব্যক্তিবর্গ থেকে এককালীন অনুদান গ্রহন করতে পারবে।

খ. বিদেশী ও দেশীয় দাতা সংস্থা বা দেশী-বিদেশী ব্যক্তিদের নিকট থেকে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা গ্রহন করতে পাবে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই দেশের প্রচলিত আইন ও বিধি বা ফরেন ডোনেশন ভলান্টারী ব্যাকটিভিটিজ রেজুলেশন অর্ডিন্যান্স-১৯৭৮ আইন মেনে চলবে।

গ. সরকার বা যে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদান গ্রহন করতে পারবে।

ব্যয়সমূহঃ

ক. ফাউন্ডেশণের কর্মচারীদের বেতন, ভাতা এবং আসবাবপত্র, ষ্টেশনারী ও পরিচালনা ব্যয়।

খ. ফাউন্ডেশণের উন্নয়নে প্রশাসনিক ও বিশেষজ্ঞ ব্যয়।

গ. প্রকল্প, মনিটরিং অডিট ও মূল্যায়ন ব্যয়।

ঘ. সভা, সেমিনার, কর্মশালা এবং পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সদস্য ও কর্মচারীদের দেশে- বিদেশে প্রশিক্ষণ ব্যয়।

ঙ. প্রকল্প কার্যক্রম পরিচালনায় পরিবহন খাতে ব্যয়।

চ. অফিস ভাড়া, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ফ্যাক্স, মাল্টিমিডিয়া, পত্রিকা, বিদ্যুৎ বিল ও বিবিধ ব্যয়।

 

১০. নির্বাহী পরিষদ:

চেয়ারম্যান ১ জন

ভাইস চেয়ারম্যান ২ জন

মহাসচিব ১ জন

যুগ্ম মহাসচিব ১ জন

সাংগঠনিক সচিব ১ জন

অর্থ সচিব ১ জন

আইনসচিব ১ জন

নারী ও শিশু বিষয়ক সচিব ১ জন

সদস্য ১ জন

সদস্য ১ জন

সদস্য ১ জন

————-

মোট ১১ জন

 

১১. চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব ও কর্তব্য:

ক. তিনি নিয়মতান্ত্রিক প্রধান। তিনি পদাধিকার বলে এ সংস্থার কর্তৃক অনুষ্ঠিত সব ধরনের সভা সভাপতিত্ব করবেন।

খ. তিনি সংস্থার যাবতীয় বিষয়ে সদস্যদেরকে আকৃষ্ট এবং উৎসাহিত করবেন। বিশেষকরে সদস্যদের গঠনতন্ত্রের ব্যাখ্যা প্রদান করবেন।

গ. তিনি বিভিন্ন দপ্তরের কার্যবিধি সম্পর্কে পরামর্শ দান করবেন

ঘ. তিনি বাৎসরিক বাজেট পরিষদের সুপারিশক্রমে অনুমোদন করবেন। ঙ. কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তে তিনি অনুমোদন স্বাক্ষর করবেন।

১২. চেয়ারম্যান প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে ফাউন্ডেশনের আইন অনুযায়ী যে কোন সিদ্ধান্ত জরুরী ভাবে নেওয়ার ব্যবস্থা নিতে পারিবেন। সংগঠনের সুনাম ক্ষুন্ন হয় বা সংগঠনের ক্ষতিকারক কোন প্রকার অভিযোগ কাহারো বিরুদ্ধে প্রমাণিত হইলে চেয়ারম্যান বোর্ড মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রচলিত আইনানুযায়ী যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

১৩. চেয়ারম্যানের এর অনুপস্থিতিতে ভাইস চেয়ারম্যান সকল কাজের তদারকি করবেন এবং ফাউন্ডেশনের স্বার্থে সকল উন্নয়নমূলক কাজে সহযোগিতা করবেন এবং দেশ ব্যাপী সভা- সমাবেশেসহ সকল প্রকার কর্মকান্ডে কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন।

১৪. মহাসচিবের দায়িত্ব ও কর্তব্য ক. সাংগঠনিক নিয়মে তিনি এ সংস্থার গঠনতান্ত্রিক প্রধান এবং চালিকা শক্তি। কাজেই ফাউন্ডেশণের যাবতীয় কর্মসূচি যথাসময়ে সম্পন্ন করাই তার দায়িত্ব। খ. ফাউন্ডেশণের আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ, সকল খাতা পত্র, ফাইল, রেকর্ডসহ যাবতীয় সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণ করা তার প্রধান কর্তব্য। গ. তিনি চেয়ারম্যান এর সাথে পরামর্শক্রমে ফাউন্ডেশণের সকল প্রকার সভা/অধিবেশন আহ্বান করবেন এবং সভা/অধিবেশনের সিদ্ধান্ত কার্যকর করবেন। ঘ. সকল প্রকার নোটিশ/সাধারণ সভার আহ্বানে তার স্বাক্ষর অবশ্যই থাকতে হবে। ঙ. তিনি এ ফাউন্ডেশণের একজন রক্ষনশীল সদস্য হিসেবে দক্ষতার সাথে সংস্থার যাবতীয় কাজ সম্পাদন এবং ক্রমান্বয়ে এর উন্নতর ব্যবস্থাপনা উদ্ভাবন করবেন। বিশেষ করে সংস্থার আর্থিক ব্যবস্থা সুসংহত ও সুদৃড় এবং সর্বদা চেয়ারম্যানের সহিত পরামর্শক্রমে সকল কার্য সম্পাদন করবেন।