দি সোসাইটি রেজিষ্ট্রেশন এ্যাক্ট, ১৮৬০ (১৮৬০ সালের ২১ নং আইন)
“বাংলাদেশ মানবাধিকার ও পরিবেশ ফাউন্ডেশন”
(Bangldesh Manobadhikar & Poribesh Foundation)
এর
ফাউন্ডেশনের নাম: বাংলাদেশ মানবাধিকার ও পরিবেশ ফাউন্ডেশন (Bangldesh Manobadhikar & Poribesh Foundation)
ফাউন্ডেশনের রেজিষ্টার্ড কার্যালয়: ২৮, কাওরান বাজার, তাজ ম্যানশন (৪র্থ তলা) ঢাকা-১২১৫ ৩.০০ কার্যক্রম এলাকা সমগ্র বাংলাদেশ।
ফাউন্ডেশনের প্রকৃতি: ইহা একটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক, বেসরকারি, আত্মসামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচন, কর্মসংস্থান, মানবাধিকার, পরিবেশ, শিক্ষা স্বাস্থ্য বিষয়ক, স্বেচ্ছাসেবী ধাতব্য প্রতিষ্ঠান। “বাণিজ্য সংগঠন (এসোসিয়েশন, চেম্বার, গ্রুপ, ফাউন্ডেশন ইত্যাদি) রাষ্ট্রনীতি এবং সামগ্রিক জনস্বার্থ বিবেচনায় রেখে কার্যক্রম পরিচালনা করবে এবং এমন কোন কার্যক্রমের আয়োজন, অংশগ্রহণ বা সমর্থন করবেনা যাতে রাষ্ট্রীয় বিধি নিষেধ লঙ্ঘিত এবং সামাজিক শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়”
ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: নিম্নে বর্ণিত সকল উদ্দেশ্যাবলী সকল কিংবা য়ে কোন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য ফাউন্ডেশনটি প্রতিষ্ঠিত হবে। বাস্তবায়নের পূর্বে সরকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অবগতি করন পত্র প্রদান করা হবে এবং এ্যাক্ট ২০ ধারার বিধানের পরিপন্থী উদ্দেশ্য/উদ্দেশ্যবলী অকার্যকর বলে গণ্য হবে।
১) স্বল্প শিক্ষিত, অশিক্ষিতদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৌশলগত প্রশিক্ষণশালার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
২) মেধাবী গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিনামূল্যে ধর্মীয় পুস্তকাদি, বিভিন্ন পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা।
৩) গরীব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এককালীন বৃত্তির ব্যবস্থা করা।
৪) আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন উৎপাদনমূখী কর্মকান্ডে সম্পৃক্ততার জন্য অদক্ষ-অল্প শিক্ষিত জনশক্তিকে বিনামূল্যে স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি ও লঙ্গিত মানবাধিকার পূনরুদ্ধারে প্রশাসনিক সহায়তার মাধ্যমে আইনগত সমাধানের ব্যবস্থা করা ও পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সদস্যদের বৈধ অধিকার সংরক্ষণের সহায়তা প্রদান করা।
৫) পরিবেশ সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও পরিচালনায় সহায়তা করা।
৬) বন্যা, মহামারী ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে আর্ত মানববতার সেবায় মেডিকেল টিম গঠন, আক্রান্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং উন্নত পরিস্থিতির জন্য সচেতনতা সৃষ্টি করা সেমিনার ও সাহায্য-সহায়তার ব্যবস্থা করা।
৭) সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যযুক্ত টয়লেট প্রাপ্তি নিশ্চিত করন এবং চলাচলের রাস্তা নির্মাণের কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করা।
৮) অসহায় বৃদ্ধা আশ্রম নির্মাণ ও প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদাণের লক্ষ্যে বিভিন্ন বাস্তবমূখী প্রকল্প গ্রহণ করা।
৯) নিরক্ষরতা দূরীকরনের জন্য স্বাক্ষর সচেতনতা সৃষ্টি ও বয়স্ক শিক্ষা/গণশিক্ষা/ধর্মীয় শিক্ষা কেন্দ্র চালু করা।
১০) দেশের যুবকসমাজকে মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে উদ্ধৃত্ত করা এবং মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা।
১১) জন্ম নিবন্ধন, অধিক হারে জনসংখ্যা রোধ, ধূমপান, মাদক প্রতিরোধ, এইচ আই ভি এইডস ও আর্সেনিক প্রতিরোধে সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মসূচী গ্রহন করা।
১২) ফাউন্ডেশণের নিয়মিত কার্যাবলী প্রকাশ ও প্রচারের জান্য দৈনিক সাপ্তাহিক / পাক্ষিক / মাসিক / ত্রৈমাসিক পত্রিকা প্রকাশ করা।
১৩) অসহায় ও দারিদ্রদের জন্য আইনী সহায়তা দেয়াও প্রয়োজনীয় পর্যবেক্ষণ, তদারকি ও সালিশের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা।
১৪) গরীব অসহায় পল্লী মানুষের জন্য বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ, চিকিৎসার্থে ক্লিনিক, ডায়াগনোস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল স্থাপন করা।
১৫) ফাউন্ডেশণের স্বার্থে সব ধরনের মঞ্জুরি অনুদান, দান, চাঁদা, চাঁদা গ্রহণ করা (বৈদিশিক দান সাহায্য গ্রহণের ক্ষেত্রে ১৯৭৮ এর স্বেচ্ছাসেবী রেগুলেশন ১৯৭৮ প্রযোজ্য)
১৬) সরকারি অনুমোদনক্রমে শিক্ষামূলক কার্যক্রম গ্রহন দ্বারা যাতে গ্রাম ও শহরের গরীব জনগোষ্ঠির নিরক্ষতা দূর করা। শিশু শিক্ষা, বয়স্ক শিক্ষা ধর্মীয় শিক্ষা দানের গ্রাম ও শহরের লোকদের আকৃষ্ট করা। তাদের ব্যবহারিক শিক্ষা দিয়ে কর্মস্থানের ব্যবস্থা করা। মেধাবী দুঃস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান এবং মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ প্রদান করা।
১৭) সরকারি অনুমোদনক্রমে প্রতিবন্দি, এতিম, মহিলা ও শিশুদের উন্নয়নে কর্মসূচী গ্রহন করা। অবহেলিত গরীব ছিন্নমূল শিশুদের পূর্নবাসন করা এবং তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য সামাজিক ও পরিবশেগত মান উন্নয়ন করা ও ভিখারীদের পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করা।
১৮) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়/সংশিষ্ট বিভাগের পূর্বানুমতিক্রমে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির আওতায় জন্ম; নিয়ন্ত্রন ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক শিক্ষা, স্বাস্থ্য সচেতনতা করে গড়ে তোলা।
১৯) নারী সমাজকে নির্ভরশীলতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করে সমাজে মর্যাদা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক ভূমিকা জোরদার করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা। নারীর অধিকার ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা নির্যাতিত মহিলাদের আইনগত সহায়তা প্রদান করা।
২০) জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং শিক্ষা প্রসারের মাধ্যমে উন্নয়ন উপযোগী পরিবশে সংরক্ষণ।
২১) সকল প্রকার দুনীর্তির বিরুদ্ধে গণসচেতনতার মাধ্যমে তা প্রতিহত করা। সকল প্রকার খাদ্য ভেজাল কারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা ও গণসচেতনতা সৃষ্টি করা।
২৩) শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণ প্রদান এবং এলাকা ভিত্তিক মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, ক্লিনিক, সেবক/সেবিকাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, জনস্বার্থে ফাউন্ডেশন এই সকল প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ড পরিচালনা করবে।
২৪) জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ধুমপান ও অন্যান্য মাদক দ্রব্য বর্জন করার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা, বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, যৌতুক ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিবাহ নিবন্ধন (কাবিন কার্যক্রমে সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ), রন্যা, ঝড়, মহামারী ইত্যাদির কারণে দুর্গত মানুষের সেবা ও পূর্ণবাসন কর্মসূচী গ্রহণ ও বেওয়ারিশ লাশ দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করা।
২৫) সরকারি অনুমতিক্রমে ক্যানসার, এইচ, আই, ভি, এইড্রা প্লেগ্র, হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস, সার্স ইত্যাদি মারাত্ম সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধে পরিকল্পিত ও বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা এবং এ সংক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
৬.০০ ফাউন্ডেশনের আয়-ব্যয়ঃ গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী তহবিল গঠিত হবে এর আয়-ব্যয়ের হিসাব রক্ষিত হবে এবং উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ব্যয় করা হবে। অবসায়ন : যদি ফাউন্ডেশনটি অবসায়ন করা হয় তবে সকল দায় দেনা পরিশোধ করতে এবং করার পূর্বে অতিরিক্ত সাধারণ সভায় সদস্যগণের তিন-পঞ্চমাংশ সদস্যের ভোটে গৃহীত সিদ্বান্ত অনুযায়ী অবসায়নের কাজ সম্পন্ন হবে।