উপকূলীয় পাবলিক লাইব্রেরীর গঠনতন্ত্র

উপকূলীয় পাবলিক লাইব্রেরীর গঠনতন্ত্র

প্রতিষ্ঠাতা- সাঈফী আনোয়ারুল আজিম

প্রস্তাবনা প্রথম অধ্যায় সভ্যতা ও সংস্কৃতির আদিগন্ত পর্যালোচনা করলে লক্ষ্য করা যায় যে, মানুষ প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছে তাঁর অনুভূতি, ভাবনা, চিন্তা ও অভিজ্ঞতা ইত্যাদি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য লিপিবদ্ধ করে রাখতে। আর এই লিপিবদ্ধ করে রাখার উদ্দেশ্য হলো যোগাযোগের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে মানুষের, সমাজের সঙ্গে সমাজের, অতীতের সঙ্গে বর্তমানের ভবিষ্যতের নিবিড় যোগসূত্র স্থাপন করা। সভ্যতার আদি থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত হাজার হাজার বছর ধরে কালের প্রবহমান ধারায় মানব সভ্যতা ও সংস্কৃতির ক্রমবিকাশের বিচিত্র ও সমৃদ্ধি গতিপথে বহু পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। মানুষের পাঠ-চাহিদা মিটানোর জন্য বিচিত্র উপাদান সংগ্রহ, সংগঠন ও সংরক্ষণের এ মহান কাজটি সম্পাদন করার তাগিদেই বহুকাল আগে থেকেই প্রয়োজন হয়েছে গ্রন্থাগারের। ইংরেজিতে একটি কথা আছে, Education is the backbone of a nation, মেরুদন্ড ছাড়া যেমন কোন মানুষ চলতে পারে না, তদ্রুপ শিক্ষা ব্যতীত কোন জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট যে শিক্ষা তা হল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। আর পাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সফলতার সহায়ক ও গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হল গ্রন্থাগার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গন্থাগারকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের হৃৎপিন্ড বলে অভিহিত করা হয়। একসময় লাইব্রেরি ভবন, তার মাঠ বা বাগান জ্ঞানপিপাসুদের পদচারণায় মুখরিত থাকত। কেবল সাহিত্যপাঠ নয়, সাহিত্যচর্চার কেন্দ্রভূমি হিসাবেও থাকত গ্রন্থাগারগুলি সাহিত্যপাঠ, গবেষণা হতে শুরু করে দৈনন্দিন খবরাখবরের জন্য দৈনিক-সাপ্তাহিক পত্রিকা ও সাময়িকী পাঠ করতে মানুষ গ্রন্থাগারমুখী হতেন। স্থানীয় অনুসন্ধিৎসু ও জ্ঞানপিপাসু পাঠকদের জ্ঞানের উৎস ও তা চর্চার পরিসর উপহার দিত গ্রন্থাগার। আর এই গ্রন্থগারের মূল সম্ভার হলো বই বা পুস্তিকা। বই আমাদের বর্তমান ও চিরদিনের পরম বন্ধু। আর এই বন্ধুর সঙ্গে সখ্য গড়তে হলে যেতে হবে লাইব্রেরিতে। কারণ বইয়ের নির্ভরশীল আশ্রয়স্থল হচ্ছে লাইবেরী। জ্ঞানের তকমায় পূর্ণতা লাভে লাইব্রেরীর কোনো বিকল্প নেই আমরা বিশ্বাস করি, মানুষ বুদ্ধিবৃত্তিক জীব। বুদ্ধি ও মননের অনুশীলনের প্রয়োজনে মানুষ জ্ঞান আহরণ করে। এই জ্ঞান আহরণের দুটো উপায়। একটি দেশভ্রমণ, অন্যটি গ্রন্থপাঠ। দেশভ্রমণ ব্যয়সাপেক্ষ তাই সবার জন্য এটা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। সে তুলনায় জ্ঞান আহরণের জন্য গ্রন্থপাঠ প্রকৃষ্টতম উপায়। কিন্তু জ্ঞানভান্ডারের বিচিত্র সমারোহ একজীবনে সংগ্রহ করা ও পাঠ করা সম্ভব হয় না। এই অসাধ্য সাধন কিছুটা হলেও সম্ভব হয় গ্রন্থাগারের মাধ্যমে। গ্রন্থাগারের বিশাল সংগ্রহশালায় নিজের রুচি, মনন ও প্রয়োজনীয় গ্রন্থ পাওয়া যায়। এই কারণে জ্ঞানার্জনের জন্য গ্রন্থাগার ব্যবহার অতীব প্রয়োজন। শিক্ষার প্রসারের জন্য এবং স্বশিক্ষিত হওয়ার জন্য গ্রন্থাগারের প্রয়োজন হাসপাতালের চাইতে কম নয়। আমাদের দেশে শিক্ষার বর্তমান অবস্থায় গ্রন্থাগার হচ্ছে একপ্রকার মনের হাসপাতাল। এখানে মানুষ স্বেচ্ছায় স্বাচ্ছন্দ্য চিত্তে স্বশিক্ষিত হবার সুযোগ পায়। স্বীয় শক্তি ও রুচি অনুসারে নিজের মনকে নিজের চেষ্টায় আত্মার রাজ্যে জ্ঞানের পথে এগিয়ে নিতে উদ্বুদ্ধ হয়। সমৃদ্ধ জাতি গঠনে গ্রন্থাগারের প্রয়োজন যে অপরিহার্য তা পৃথিবীর সমৃদ্ধ ও উন্নত জাতিসমূহের ইতিহাস পাঠে জানা যায় গ্রন্থাগার জ্ঞান-বিজ্ঞানকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার এক অনন্য মাধ্যম হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। তেমনিভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে গ্রন্থাগার শুধু অপরিহার্য নয় বরং প্রতিষ্ঠানের সমৃদ্ধির একটি পরিমাপক হচ্ছে সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যেমন খাদ্যের প্রয়োজন, তেমনি একটি জাতিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য বইয়ের প্রয়োজন হয়। বলতে দ্বিধা নেই বই প্রাণহীন হলেও বইয়ের সাথে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ। আধুনিক যুগের সূচনাতে বই ছিলনা। যার কারণে মানুষ সভ্যতার অনেক কিছু হারিয়েছে। তাই মানুষকে আজ হারানোর বেগ পেতে হচ্ছে পদে পদে। প্রাচীনকালে যখন লিখন পদ্ধতি এবং প্রিন্টিং পদ্ধতি ছিলনা তখনো মানুষ ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো রক্ষণাবেক্ষণ করেছিল। তবে বর্তমানের মত পর্যাপ্ত নয়। কাগজ আবিষ্কৃত হওয়ার পূর্বে মানুষ বৃক্ষের পাতা, ত্বক, ধাতু, ইস্টক, পত্তর ও কাষ্ঠ ফলক ইত্যাদিতে সাংকেতিক চিহ্ন দ্বারা লিপিবদ্ধ করে রাখত পয়োজনীয় বিষয়। কিন্তু আজ দিন পাল্টেছে। মানুষের আগ্রহও পাল্টেছে। মানুষ পুস্তুকলব্ধ জ্ঞানের চাইতে এখন তথ্য প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে, সাহিত্যের চাইতে সংবাদে আগ্রহী হচ্ছে। বিনোদনের এত উৎস জুটেছে যে, সাহিত্যের স্থান সেই তালিকায় নাই বললেই চলে। অন্যদিকে তথ্য, গবেষণা ও জ্ঞানের সহজ উৎস হিসাবে ইন্টারনেট হাজির হয়েছে, ফলে গ্রন্থের চাহিদা কমতেছে। কিন্তু অনুভবের বিষয় এই যে ইন্টারনেট কখনো গ্রন্থের বিকল্প হতে পারে না। ইন্টারনেট অনেক তথ্য সহজেই হাজির করতে পারে, কিন্তু গ্রন্থের মতো করে গভীরভাবে সে জ্ঞানকে উপহার দিতে পারে না। হাতে নিয়ে গ্রন্থ পড়ার প্রক্রিয়ায় জ্ঞানের সাথে পিপাসুর যে অন্তরঙ্গ যোগাযোগ স্থাপিত হয় তা অন্য কোনো উপায়ে অর্জন করা সম্ভব হয়না। ফলে পাবলিক লাইব্রেরির গুরুত্ব এড়িয়ে চলা যায়না। এই বাস্তবতাকে গভীরভাবে উপলদ্ধি এবং একটি দৃশ্যমান পাবলিক লাইব্রেরীর প্রয়োজনীয়তাকে দেশ ও জাতির অগ্রগতির স্বার্থে প্রাধান্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে উপকূলীয় পাবলিক লাইব্রেরী। এই গ্রন্থগার একটি সমষ্টিগত সামাজিক উদ্যোগ। এই গ্রন্থগার জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সর্বক্ষেত্রে মানবতাবোধ প্রতিষ্ঠা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিৎ করতে বদ্ধপরিকর। এ জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে আমাদের এই “গ্রন্থণার পরিচালনা সংবিধান”। আমরা দৃঢ় আশাবাদী প্রণীত এই সংবিধান গ্রন্থগার পরিচালনা বোর্ড, সকল সদস্য গ্রন্থগারের অধীনে পরিচালিত সকল প্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠ পরিচালনা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিৎ করা এবং আগামীতে একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ গণগ্রন্থগারের রূপদানে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

ধারা-১. নাম এই গ্রন্থগারের নাম হবে “উপকূলীয় পাবলিক লাইব্রেরী”। ধারা-২. লাইব্রেরীর কার্যালয় লাইব্রেরীর নিবন্ধিত কেন্দ্রীয় কার্যালয় হবে নিম্ন বর্ণিত ঠিকানায়: হোল্ডিং- হাজী কালামিয়াপাড়া, গ্রাম- খুদুকখালী, (৭নং ওয়ার্ড), ডাকঘর- ছনুয়া- ৪৩৯০, উপজেলা- বাঁশখালী, চট্টগ্রাম। ধারা-৩, ভাষা লাইব্রেরীর দাপ্তরিক ভাষা হবে বাংলা। তবে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার এবং গঠনতন্ত্রের ইংরেজি সংস্করণ প্রচলিত থাকবে। ধারা-৪. প্রতীক/মনোগ্রাম লাইব্রেরীর একটি প্রতীক/মনোগ্রাম থাকবে, ধারা-৫, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য (ক) গণসজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের বিধি বিধান মোতাবেক বা তদানুসারে শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মানবিক উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট কর্মকান্ডে নিয়োজিত সকলের মর্যাদা রক্ষা, কল্যাণ ও উন্নয়ন সাধন করা। (খ) দেশের শিক্ষা, সাহিত্য, গবেষণা, প্রশিক্ষণ, সম্প্রসারণসহ সার্বিক উন্নয়নের জন্যে সম্ভাব্য সেবা প্রদান করা। এতদুদ্দেশ্যে একটি শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও ইনস্টিটিউট স্থাপন করা এবং লাইবেরী কর্তৃক সময়ে সময়ে আরোপিত শর্ত ও নিয়মানুযায়ী সনদ প্রদান করা। (গ) একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক সমাজের আওতায় এর সদস্যদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধাসমূহ সুরক্ষা ও সমুন্নত করা এবং সদস্যদেরকে জাতীয়, সামাজিক, ব্যক্তিগত, নৈতিক ও পেশাগত উন্নয়নে তাদের যথার্থ দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ করা। (ঘ) লাইব্রেরীর সদস্যদের মাঝে সহযোগিতা, সংহতি ও সহমর্মিতা বৃদ্ধি করা, পেশার মান ও মর্যাদা সমুন্নত করা এবং সদস্যদের আচার আচরণ এবং জাতীয় জীবনের সকল সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে পেশাগত রীতিনীতি মেনে চলায় উদ্বুদ্ধ করা। (৪) আলোচনাসভা, বক্তৃতামালা, সম্মেলন, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ আয়োজন; সাময়িকী, জার্নাল ও বই-পুস্তুক প্রকাশনা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকান্ডের মাধ্যমে লাইব্রেরীর সদস্যদেরকে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান ও পেশাগত দক্ষতা অর্জনে সাহায্য ও উৎসাহ প্রদান করা। (চ) গ্রন্থগার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী সংস্থা, প্রতিষ্ঠানের সাথে আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়ণ করা এবং পেশাগত সকল বিষয় ও কৃষিকর্মকাণ্ড অনুশীলনে পরামর্শ দানকরা। (ছ) লাইব্রেরীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে পারস্পরিক কল্যাণে দেশ-বিদেশের অন্যান্য পেশাজীবী সংগঠন/সংস্থার সাথে সহযোগিতা ও সমঝোতা জোরদার করা। (জ) দুঃসময়ে সকল সকল ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের বিপদ আপদে সম্ভাব্য সেবা প্রদান এবং সে উদ্দেশ্যে কল্যাণ তহবিল সংগ্রহ করা।

(ঝ) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত মেধাবী সন্তান-সন্ততিদের বৃত্তি প্রদান করা ও বিশেষ অবদানের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, উদ্যোক্তাদের পুরস্কার এবং পদক প্রদান করা। ধারা-৬. লাইব্রেরীর তহবিল লাইব্রেরীর চার প্রকার তহবিল থাকবে (ক) সাধারণ তহবিলঃ সদস্যদের প্রবেশ ফি এবং জীবন সদস্যদের চাঁদা ব্যতীত অন্যান্য চাঁদা, দান, অনুদান, সম্পদের আয় সাধারণ তহবিল হিসেবে পরিগণিত হবে যা কোন একটি তফসিলী ব্যাংক হিসাবে সংরক্ষিত থাকবে (খ) স্থায়ী আমানত তহবিলঃ সদস্যদের প্রবেশ ফি ও জীবন সদস্যদের চাঁদা এবং সাধারণ তহবিলের ১০% (শতকরা দশ ভাগ) স্থায়ী আমানত হিসেবে তফসিলী ব্যাংকে সংরক্ষণ করা হবে। (গ) সংরক্ষিত তহবিলঃ মোট আয়ের ৫% (শতকরা পাঁচ ভাগ) সংরক্ষণ করা হবে। এই তহবিলের অর্থ কেবলমাত্র লাইব্রেরীর উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহৃত হবে। (ঘ) কল্যাণ তহবিলঃ কল্যাণ তহবিলের অর্থ দেশের একটি তফসিলভুক্ত ব্যাংকে সংরক্ষণ করতে হবে। সদস্যদের কাছ থেকে বিশেষ দান বা ধার্যকৃত অর্থ এবং অন্যান্য উৎস থেকে উদার সাহায্য গ্রহণের মাধ্যমে কল্যাণ তহবিল সংগ্রহ ও জোরদার করতে হবে এবং উল্লিখিত অর্থ একটি ব্যাংকে স্বতন্ত্র হিসাবে সংরক্ষণ করতে হবে। কার্যনির্বাহী কমিটি অস্বচ্ছল সদস্যদের আপৎকালীন সাহায্যের জন্য কল্যাণ তহবিল পরিচালনা করবে। ধারা-৭. সম্পদ ব্যবস্থপনাঃ সাইবেরীর সকল সম্পদ সম্পূর্ণরূপে ন্যস্ত থাকবে পরিচালনা কমিটির উপর। এই পরিষদ যেভাবে সঠিক মনে করবে সেভাবে তা বিক্রয় বা অন্য কোনভাবে হস্তান্তরের পূর্ণ ক্ষমতা, এখতিয়ার, দায়িত্বের অধিকারী হবে এবং কার্যকরী পরিষদের অনুমোদন ব্যতিরেকে লাইব্রেরীর কোন সম্পত্তি, ভূমি ও এখতিয়ারাধীন সম্পদ বিক্রয় অথবা বন্ধক দান অথবা অন্য কোন রকম হস্তান্তর করা যাবে না। স্বেচ্ছামূলক দান অথবা অন্য কোনভাবে প্রাপ্ত এ ধরনের সম্পত্তি অথবা অর্জিত সম্পদ অথবা আয় বা রাজস্ব যাই হোক না কেন কোন অবস্থাতেই কোন সদস্যের মাঝে কোন লভ্যাংশ, উপহার বা বোনাস হিসেবে প্রদান করা যাবে না এবং এতদ্বারা তা সুস্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ। লাইব্রেরীর সকল সম্পদ-সম্পত্তি যথোপযুক্ত ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা করতে হবে এবং স্টক রেজিস্ট্রারে তা নিয়মানুগভাবে লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষণ করতে হবে

ধারা-৮. লাইব্রেরীর কার্যক্রম

লাইব্রেরীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ বাস্তবায়নের জন্য নিম্নোক্ত কর্মকান্ড পরিচালনা করা হবে- (ক) নিয়মিত ও সময়ে সময়ে শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশ সংশ্লিষ্ট বুলেটিন, জার্নাল, সাময়িকী ও বই প্রকাশ করা। (খ) শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা সভা, বক্তৃতামালা, সম্মেলন, সিম্পোজিয়াম, কর্মশালা ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করা। (গ) লাইব্রেরীর স্বার্থে নতুন ভবন নির্মাণ, উপযুক্ত ভূমি ক্রয় এবং অথবা সম্পত্তি ভাড়া করা বা ভাড়া খাটানো, বন্ধক, বিক্রয় করা। (ঘ) উপকূলীয় পাবলিক লাইব্রেরী কমপ্লেক্স ব্যবস্থাপনা, জনবল কাঠামো এবং কর্মকর্তা কর্মচারীদের চাকুরীবিধি সম্পর্কিত নীতিমালা তৈরি করা। (৪) উপকূলীয় পাবলিক লাইব্রেরী অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও সম্প্রসারণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা যাবে যা নির্দিষ্ট বিধিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হবে। (চ) লাইব্রেরীর সদস্যদের ব্যবহারের জন্য অফিস, লাইব্রেরী, রিয়িং রুম, ক্লাব, ‘অডিটরিয়াম, কমিউনিটি সেন্টার, সুইমিং পুল, জিমনেসিয়াম এবং লাইব্রেরী নিজস্ব ভূমিতে অবস্থিত সকল ভৌত সুবিধা রক্ষণাবেক্ষণ করা। (ছ) প্রয়োজনে তহবিল গঠনের উদ্দেশ্যে চাঁদা সংগ্রহ এবং লাইবেরী সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ঋণ গ্রহণ। (জ) লাইব্রেরী কর্তৃক সময়ে সময়ে গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক তহবিলের একটি নির্দিষ্ট অংশ বিনিয়োগ করা। (ঝ) উপযুক্ত স্থানসমূহে লাইব্রেরীর নতুন শাখা ও ভবন প্রতিষ্ঠা করা। (ঞ) কোন অবস্থায় বা উদ্দেশ্যে লাইব্রেরী কর্তৃক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রচলিত আইনসমূহের সাধারণ আওতা ও প্রকৃত উদ্দেশ্যের পরিপন্থি কোন প্রস্তাব গ্রহণ বা উপবিধি প্রণয়ন করা যাবে না এবং যদি এ ধরনের কোন বিধি বা উপবিধি প্রণয়ন করা হয় তা পুরোপুরি বাতিল বলে গণ্য হবে। (ট) লাইব্রেরীর কোন সম্পত্তির উপর কোন সদস্যের কোন ব্যক্তিগত দাবী থাকবে না এবং লাইব্রেরীর স্বার্থে কার্যনির্বাহী কমিটি সিদ্ধান্ত মোতাবেক লাইব্রেরী সদস্যদেরকে ঐসব কর্মকান্ড যেমনঃ ভ্রমণ ও দৈনন্দিন কাজের ভাতা ব্যতিরেকে কোন প্রকার ডিভিডেন্ড অথবা বোনাস অথবা অন্য কোনভাবে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মুনাফা হিসাবে কিছু দেয়া যাবে না। (১) লাইব্রেরী ব্যবস্থাপনা নীতি ও বিধানাবলী অনুযায়ী লাইব্রেরীর ভবন পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। (ড) লাইব্রেরীর স্বার্থে কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক লাইব্রেরীর সদস্যদেরকে কোন কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য ভ্রমণ ও দৈনন্দিন ভাতা (টিএ,ডিএ) প্রদান করতে পারবে।

 

দ্বিতীয় অধ্যায় নিয়ম ও বিধানাবলী ধারা-৯. পরিভাষা সমূহের সংজ্ঞা: (ক) উপকূলীয় পাবলিক লাইব্রেরী যা সংক্ষেপে ‘ইউপিএল’ নামে অভিহিত হবে। (খ) ‘গঠনতন্ত্র’ অর্থ সময়ে সময়ে প্রণীত ও গৃহীত লাইব্রেরীর বিধি, বিধান ও উপবিধিসমূহ। (গ) ‘কমিটি’ অর্থ গঠনতন্ত্রের বিধান অনুসারে লাইব্রেরীর সাধারণ সদস্যদের দ্বারা একটি নির্দিষ্ট কার্যকালের জন্য গঠিত কার্যনির্বাহী কমিটিকে বুঝাবে। (ঘ) ‘সদস্য’ অর্থ এই অধ্যায়ের ধারা-১৩-এর বিধান অনুসারে যথাযথভাবে তালিকাভুক্ত লাইব্রেরীর সাধারণ সদস্য ও জীবন সদস্য বুঝাবে। (ঙ) ‘নোটিশ বা ‘বিজ্ঞপ্তি’ অর্থ লিখিত, টাইপকৃত বা মুদ্রিত এবং স্বাক্ষরের জন্য যথাযথভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কার্যনির্বাহী কমিটির কোন ব্যক্তির স্বাক্ষরিত একটি পত্রকে বুঝাবে। (চ) ‘অর্থ বছর’ বলতে ৩১ ডিসেম্বরে সমাপ্ত ১২ (বার) মাসের খৃস্টীয় বছর। (ছ) ‘সাধারণ সীলমোহর’ অর্থ লাইবেরীর প্রতীক খোদাইকৃত একটি সীলমোহর। (জ) ‘কার্যকাল’ অর্থ ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরপর দুটি ক্যালেন্ডার বর্ষ নিয়ে গঠিত মেয়াদ, যার জন্য কার্যনির্বাহী কমিটি ও শাখাসমূহের কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচিত হয়। (ঝ) ‘শাখা’ অর্থ একটি নির্দিষ্ট এলাকায় গঠিত লাইব্রেরীর একটি শাখা। স্ব স্ব এলাকার সীমানার মধ্যে কর্মরত বা বসবাসরত সকল সাধারণ ও জীবন সদস্যগণ আবশ্যিকভাবে ঐ নির্দিষ্ট শাখায় তালিকাভুক্ত হবেন। (ঞ) লাইব্রেরীবর্ষ অর্থ ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছর সময় কাল

(ট) ‘কর্মকর্তা’ বলতে সভাপতি, সহ-সভাপতি, মহাসচিব, কোষাধ্যক্ষসহ কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্য সকল সম্পাদককে বুঝায়। (চ) ‘নিয়মিত সদস্য’ অর্থ লাইব্রেরীর নির্ধারিত চাঁদা যথা সময়ে পরিশোধপূর্বক হালনাগাদকৃত সদস্য। ধারা-১০. পরিভাষা ও ব্যাখ্যা: ভিন্ন কোন অর্থ থাকলেও লাইব্রেরীর বিষয়াবলীর পরিভাষা ও ব্যাখ্যাসমূহ গঠনতন্ত্রে যেমন বর্ণিত হয়েছে সেভাবেই হবে। ধারা-১১. সদস্যপদ নিবন্ধনীকরণ পদ্ধতিঃ গঠনতন্ত্রের ধারা-১১(ট) মোতাবেক বাংলাদেশের যে কোন নাগরিক লাইব্রেরী নির্ধারিত ফি প্রদান করে লাইবেরীর সদস্য হতে পারবেন। আবেদনকারীকে লাইবেরীর নির্ধারিত আবেদন পত্র যা ‘সদস্য পদের আবেদনপত্র’ পূরণ করে সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে অথবা কার্যনির্বাহী কমিটির নিকট গ্রহণযোগ্য প্রকৃত সদস্য কর্তৃক প্রস্তাবিত এবং সমর্থিত হয়ে নিজ স্বাক্ষরসহ আবেদন করতে হবে। লাইব্রেরীর মহাসচিব ফিসহ পাপ্ত আবেদনপত্র যাচাই বাছাই করে তা অনুমোদনের জন্য কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থাপন করবেন। সভায় অনুমোদিত আবেদনকারীর নাম লাইব্রেরীর নিবন্ধন বইতে অন্তর্ভুক্ত হবে। ধারা-১২. সম্মানী সদস্য: শিক্ষা তথা সমগ্রিকভাবে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রেখে দেশে বিদেশে খ্যাতি অর্জন করেছেন এমন ব্যক্তিত্বকে লাইব্রেরীর সম্মানী সদস্য করা যাবে। এক্ষেত্রে এ জাতীয় ব্যক্তিত্বের নাম লাইব্রেরীর অন্তত ২৫ (পঁচিশ) জন সদস্য কর্তৃক প্রস্তাবিত হতে হবে। প্রস্তাবিত ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণের নাম কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক অনুমোদনের পর মহাসচিব উক্ত ব্যক্তিগণের সম্মতি গ্রহণ করবেন। সাধারণ সভায় প্রস্তাবিত সম্মানিত সদস্যগণের নাম অনুমোদনের পরই তা লাইব্রেরীর নিবন্ধন বইতে অন্তর্ভুক্ত হবে। তবে কোন ক্ষেত্রে তার কোন ভোটাধিকার থাকবে না। ধারা-১৩. সদস্যপদঃ লাইব্রেরীতে দু’ধরনের সদস্য থাকবে যথাঃ সাধারণ সদস্য ও জীবন সদস্য। (ক) গঠনতন্ত্রে বর্ণিত সংজ্ঞানুসারে লাইব্রেরীতে নিবন্ধনকৃত সকল সদস্য এক একজন সাধারণ সদস্য। (খ) লাইব্রেরীতে ৫(পাঁচ) বছর যাবত নিষ্ঠা সহকারে অব্যাহতভাবে সেবা দানকারী একজন সাধারণ সদস্য নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করে একজন জীবন সদস্য হতে পারেন ধারা-১৪, সদস্যপদ স্থগিতকরন ও পুনঃসদস্যকরণঃ ক) কোন সদস্য যিনি কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে পরপর এক বছরের চাঁদা পরিশোধ করেননি, লাইব্রেরীতে তার সদস্যপদ আপনা আপনি স্থগিত হয়ে যাবে। পুণ্যসদস্য পদ প্রাপ্তির জন্য তাঁকে সমুদয় বকেয়া চাঁদাসহ পূর্ণ প্রবেশ ফি পরিশোধ করতে হবে, তবে অতি বিশেষ পরিস্থিতিতে কার্যনির্বাহী কমিটি তার আংশিক অথবা সমুদয় বকেয়া মওকুফ করে দিতে পারবে। (খ) কোন সদস্যের দুই পঞ্জিকা বর্ষের বার্ষিক চাঁদা অপরিশোধিত থাকলে তিনি সংশ্লিষ্ট মেয়াদ/কার্যকালের জন্য লাইব্রেরীর কোন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্‌দ্বিতা করার বিজ্ঞপ্তি পাওয়ার যোগ্যতা হারাবেন, নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না এবং লাইবেরীর প্রদত্ত অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হবেন।

ধারা-১৫. সদস্যপদ বাতিল: মৃত্যু পদত্যাগ ও বহিস্কারের ক্ষেত্রে সদস্যপদ আপনা আপনিই বাতিল হয়ে যাবে। ধারা-১৬. পদত্যাগঃ যে কোন সাধারণ বা জীবন সদস্য সম্পাদকের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক উদ্দেশ্যে কারণ বর্ণনাসহ লিখিতভাবে তার সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন। মহাসচিব সিদ্ধান্তের জন্য তা কার্যনির্বাহী কমিটিতে পেশ করবেন। কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক অনুমোদন ও গ্রহণের তারিখ থেকে পদত্যাগ কার্যকর হবে। অবশ্য, সংশ্লিষ্ট সদস্য ইচ্ছা করলে কার্যনির্বাহী কমিটিতে গৃহীত হবার পূর্বে পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। ধারা-১৭. সদস্যপদ থেকে বহিস্কার : লাইব্রেরীর অন্তত ১৫ জন সদস্য কোন সদস্যের বিরুদ্ধে তার লাইব্রেরীর স্বার্থবিরোধী কার্যকলাপ সম্পর্কে লিখিত অভিযোগ করলে তিনি বহিস্কারের শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সম্মুখীন হতে পারেন এ ধরণের ঘটনায় অভিযোগ প্রাপ্তির পর এক মাসের মধ্যে কার্যনির্বাহী কমিটি সভাপতির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে। তদন্ত কমিটি গঠনের দাপ্তরিক বিজ্ঞপ্তি জারীর তারিখ থেকে এক মাসের মধ্যে কার্যনির্বাহী কমিটির কাছে রিপোর্ট পেশ করবে। দায়ী ব্যক্তিকে তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হয়ে বা লিখিতভাবে তার আচরণ ব্যাখ্যা বা সমর্থনের জন্য অনধিক তিন সপ্তাহের একটি যুক্তিসঙ্গত সময় দেয়া হবে। চূড়ান্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে কাউন্সিল সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে দোষী ব্যক্তিকে বহিষ্কার পর্যন্ত শান্তি প্রদান করতে পারবে। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত কার্যনির্বাহী কমিটি আবশ্যকীয় মনে করণে তার সদস্যপদ যে কোন মেয়াদের জন্য স্থগিত করতে পারবে। অবশ্য অভিযুক্ত ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে গৃহীত ব্যবস্থা পূর্নর্বিবেচনার জন্য সাধারণ সম্পাদকের কাছে আবেদন জানাতে পারেন। ধারা-১৮. সদস্যদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা: সাধারণভাবে একটি গণতান্ত্রিক সমাজের মধ্যে লাইব্রেরীর যাবতীয় বিষয়ে প্রত্যেক সদস্য সমানাধিকার ও সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন এবং লাইব্রেরীর যাবতীয় কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করবেন। ধারা-১৯. ফি ও বার্ষিক চাঁদা: ক) প্রত্যেক সাধারণ সদস্যকে ১০০.০০ (একশত) টাকা নিবন্ধন ফি এবং ৩০০.০০ (তিনশত) টাকা বার্ষিক চাঁদা পরিশোধ করতে হবে। পক্ষান্তরে জীবন সদস্যপদের জন্য ৫০০০০.০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা এককালীন পরিশোধ করতে হবে। সদস্য সনদপত্র ফি ৫০০.০০ (পাঁচশত) টাকা। কোন সদস্যের নিকট বকেয়া পাওনা থাকলে তা সনদপত্র ফি’র সাথে পরিশোধ করতে হবে। তৃতীয় অধ্যায়: লাইব্রেরীর সার্বিক ব্যবস্থাপনাঃ ধারা-২০. সার্বিক ব্যবস্থাপনা লাইব্রেরীর সার্বিক ব্যবস্থাপনা ন্যস্ত থাকবে কার্যনির্বাহী কমিটির উপর।

ধারা-২১. কার্যনির্বাহী কমিটির কাঠামো (ক) লাইব্রেরীর নিয়মিত সদস্যরা সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের পদ ছাড়া অন্যান্য পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্য বলে গণ্য হবেন। (খ) কার্য নিবাহী কমিটিতে লাইব্রেরীর প্রতিষ্ঠাতার পরিবার থেকে একজন যোগ্য উত্তরসূরী সভাপতি নির্বাচিত হবেন। প্রতিষ্ঠাতার পরিবার থেকে মনোনীত ব্যক্তি সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত হবেন। এ পদে প্রতিষ্ঠাতার পরিবারের মনোনীত ব্যক্তি ছাড়া অন্যকেউ সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত হতে পারবেনা। যদি প্রতিষ্ঠার পরিবার থেকে যোগ্য কোনো ব্যক্তিকে সভাপতি পদের জন্য পাওয়া না যায়, তাহলে তাঁদের পরিবারের অনাপত্তিপত্র প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠাতার পরিবারের অন্যান্য আত্মীয় স্বজন থেকে একজনকে সভাপতি পদে মনোনীত করা যাবে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠাতার পরিবারের সিদ্ধান্তই অগ্রগণ্য ও চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। (গ) ৯ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটিতে প্রতিষ্ঠাতা পরিবার থেকে ১ জন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য পদে মনোনীত হবেন। কার্যকরী কমিটির অন্যান্য পদে প্রকাশ্য মতামত, গোপন ভোট অথবা দুই তৃতীয়াংশ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে মনোনীত করা হবে। (ঘ) কার্যনির্বাহী কমিটি নিম্নোক্ত সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হবেঃ সভাপতি ১ সহ-সভাপতি (মহিলা) ১ সাধারণ সম্পাদক ১ কোষাধ্যক্ষ ১ সাংগঠনিক সম্পাদক ১ ক্রীড়া, ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ১ সাহিত্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ১ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ১

নির্বাহী সদস্য ১ মোট ৯ জন ধারা-২২. কার্যনির্বাহী কমিটি কর্মকর্তাদের ক্ষমতা ও কাজ (ক) সভাপতিঃ সভাপতি লাইব্রেরী প্রধান হিসাবে কার্যনির্বাহী কমিটির সভাসমূহ, কাউন্সিল, সাধারণ পরিষদের সভাসমূহে সভাপতিত্ব করবেন। তাছাড়া সভা সমাবেশ, আলোচনা এবং দেশে বিদেশে প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বদানসহ গঠনতন্ত্রের পরিধির মধ্যে লাইব্রেরীর স্বার্থ এবং লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করবেন। তিনি গঠনতন্ত্রের প্রতিটি ধারা উপধারা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন, নিশ্চিত ও সংরক্ষণ করবেন এবং লাইব্রেরীর পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদকের সাথে যৌথভাবে সকল বিবৃতি, দলিলপত্র, ঘোষণা ও দেশে বিদেশে চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। (খ) সহ-সভাপতি (মহিলা)ঃ সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতি তাঁদের জন্য কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক নির্দিষ্ট করে দেয়া সকল কাজ সম্পাদন করবেন এবং সভাপতির অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতি কার্যনির্বাহী কমিটি/কাউন্সিল/সাধারণ পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করবেন এবং সে ক্ষেত্রে তিনি সভাপতির মতোই সুযোগ ও অধিকার ভোগ করবেন। (গ) সাধারণ সম্পাদক। সাধারণ সম্পাদক লাইব্রেরীর নির্বাহী প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন। কার্যনির্বাহী কমিটির সহায়তায় দক্ষতার সাথে লাইব্রেরী পরিচালনা করবেন এবং সভাপতির সাথে পরামর্শক্রমে অন্ততঃপক্ষে ৭ (সাত) দিনের নোটিশে কার্যনির্বাহী কমিটির সভা আহ্বান করবেন। তিনি লাইব্রেরীর দৈনন্দিন কাজের ব্যাপারে দায়িত্বশীল থাকবেন এবং লাইব্রেরীরর কর্মকান্ড ও কাজ সম্পর্কে কার্যনির্বাহী কমিটি, কাউন্সিল ও সাধারণ পরিষদের সভাসমূহে অবহিত করবেন। তিনি ৪৮ (আটচল্লিশ) ঘন্টার বিজ্ঞপ্তিতে কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরী সভা আহ্বান করতে পারবেন এবং পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুসারে আরো সংক্ষিপ্ত সময়ের বিজ্ঞপ্তিতেও জরুরী সভার আহ্বান করতে পারবেন। কার্যনির্বাহী কমিটি অন্তত ১০ (দশ) জন সদস্য তলবী সভার জন্য লিখিত চিঠি দিলে সাধারণ সম্পাদক সভাপতির সাথে পরামর্শ করে উক্ত চিঠি প্রাপ্তির ২ (দুই) সপ্তাহের মধ্যে কার্যনির্বাহী কমিটির সভা আহ্বান করবেন। সাধারণ সম্পাদক সুষ্ঠুভাবে লাইবেরীর সকল নথিপত্র, দলিলপত্র, নিবন্ধন বই প্রভৃতি সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করবেন, সভাসমূহের কার্যবিবরণী প্রস্তুত করবেন এবং সভাপতির সাথে যৌথভাবে দেশে বিদেশে সকল বিবৃতি, দলিল, ঘোষণা ও চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন এবং গঠনতন্ত্র অনুসারে সভাপতি তাকে যেসব কাজ করতে বলবেন তিনি সেসব কাজও সম্পাদন করবেন। তিনি লাইব্রেরীর হিসাব বই তদারক করবেন, বিল পাশ করবেন, পাওনাদি পরিশোধ করবেন এবং কোষাধ্যক্ষের সাথে যৌথ স্বাক্ষরে চেক ইস্যু ও স্বাক্ষর করবেন। তিনি লাইব্রেরীর স্বার্থে কাজের সমন্বয় সাধন করবেন। (ঘ) কোষাধ্যক্ষঃ কোষাধ্যক্ষ তহবিলের রক্ষক হিসাবে গঠনতন্ত্রে বর্ণিত আর্থিক বিধি-বিধান অনুসরণ করে লাইবেরীর আয়-ব্যয় ও হিসাব দেখাশুনা করবেন। তিনি সাধারণ সম্পাদকের সাথে যৌথভাবে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ব বা কোন তফসীলী ব্যাংকে হিসাব পরিচালনা করবেন। তিনি ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় খরচের হিসাব পেশ করবেন এবং সাধারণ সম্পাদকের সাথে পরামর্শ করে বছরের শুরুতে কার্যনির্বাহী কমিটির বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন করবেন। লাইব্রেরীর হিসাব কাউন্সিল ও বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) অবহিতকরণ ও অনুমোদনের জন্য কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক নিযুক্ত চাটার্ড একাউন্ট ফার্ম দ্বারা সাধারণ সভার পূর্ববর্তী মাস পর্যন্ত অডিট করাবেন। (ঙ) সাংগঠনিক সম্পাদকঃ লাইব্রেরীর যাবতীয় সাংগঠনিক বিষয় সাংগঠনিক সম্পাদকের উপর ন্যস্ত থাকবে। তিনি লাইব্রেরীর সদস্যদের একটি নিবন্ধন বই সংরক্ষণ করবেন এবং সংগঠনকে জোরদার করার লক্ষ্যে উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে কার্যনির্বাহী কমিটির কর্মসূচি বাস্তবায়নের সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন। (চ) ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদকঃ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক লাইব্রেরীর আভ্যন্তরীণ ও বহিরাঙ্গন ক্রীড়া আয়োজন করবেন। তিনি লাইব্রেরী প্রাঙ্গণে পতিষ্ঠিত ক্লাব ব্যবস্থাপনারও দায়িত্বে থাকবেন। তিনি সময়ে সময়ে পয়োজনমত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানাদির আয়োজন করবেন। কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ ব্যাপারে একটি উপ-কমিটি গঠন করা হবে। তিনি ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য উৎসবাদি উদযাপনেরও ব্যবস্থা করবেন। (ছ) সাহিত্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকঃ প্রচার সম্পাদক লাইব্রেরীর প্রচারমূলক কার্যক্রমের দায়িত্বে ন্যস্ত থাকবেন। কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ হতে লাইব্রেরীর ধরণের প্রচার কাজের ব্যবস্থা করা তার দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রচার কার্যক্রমের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হলো, সদস্যদের কাছে জানলি ও সাময়িকী বিতরণ, পোস্টার ও প্রচারপত্র থাকলে তা বিতরণ এবং সাধারণ সম্পাদকের অনুমোদন সাপেক্ষে সংবাদ মাধ্যমের জন্য সংবাদ/প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও বিবৃতি তৈরি ও প্রেরণ করা। (জ) প্রতিষ্ঠাতা সদস্যঃ তিনি লাইব্রেরীর উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত করবেন, পতিষ্ঠানের ভূমি, ভবন, নিরাপত্তা, শৃংখলা এবং সুষ্ঠ পরিচালনার বিষয়ে কাজ করবেন। সর্বোপরি লাইব্রেরীর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কাজে সহায়তা প্রদানসহ গৃহীত বিভিন্ন কর্মকান্ডে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবেন। (ঞ) সদস্যঃ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যগণ তাঁদের পেশাগত অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার আলোকে লাইব্রেরীর গঠনতন্ত্রে বর্ণিত বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণে পয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করবেন। চতুর্থ অধ্যায় সভা ও সম্মেলন ধারা-২৩. কার্যনির্বাহী কমিটির সভা পরিচালনা পদ্ধতি সাধারণ সম্পাদক কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সভা আহবান করবেন এবং সাধারণত লাইব্রেরীর কার্যালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ ধরনের সভাসমূহে সভাপতি ব্যতিরেকে সকল কর্মকর্তা ও সদসস্যের প্রত্যেকের একটি ভোট থাকবে এবং সভাপতির কেবলমাত্র ‘কাষ্টিং’ ভোট থাকবে। ভোটাভুটি হাত উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। (খ) কার্যনির্বাহী কমিটির এক তৃতীয়াংশ কর্মকর্তা ও সদস্যের লিখিত দাবীর প্রেক্ষিতে সভার যে কোন আলোচ্য বিষয় পরবর্তী সভার আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্তি করা যেতে পারে। (গ) কার্যনির্বাহী কমিটির সভার আলোচ্যসূচি প্রস্তুত ও উত্থাপনের দায়িত্ব মহাসচিবের হলেও কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যসহ যে কোন ১০ (দশ) জন সদস্য সম্পাদক বরাবর কোন বিষয়ে নোটিশ দিলে তা পরবর্তী সভার আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হবে। (ঘ) লাইবেরীর কোন সভা কোরাম ব্যতিরেকে অনুষ্ঠিত হবে না, তবে মুলতবী সভার জন্য কোন কোরামের প্রয়োজন হবে না। (৬) সাধারণ সম্পাদক অতি জরুরী কোন বিষয়ে একটি খসড়া প্রস্তাবের উপর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের মতামত গ্রহণ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সভাপতির কাছে পেশ করতে পারবেন। উক্ত বিষয়ে গৃহীত সিদ্ধান্ত কার্যনির্বাহী কমিটির পরবর্তী সভায় অবহিত করতে হবে। ১) কার্যনির্বাহী কমিটির সভাসমূহের প্রস্তাব ও কার্যবিবরণী ‘একটি কার্যবিবরণী বই’তে লিপিবদ্ধ করতে হবে সাধারণ সম্পাদক তা অনুমোদনের জন্য কার্যবিবরণী আকারে পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করবেন। ঐ কার্যবিবরণী অনুমোদিত হলে সভাপতি তাতে স্বাক্ষর। করবেন। সভাসমূহের কার্যবিবরণী যথাসময়ে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের নিকট পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

ধারা-২৪. সভাপতির রুলিং: যে কোন পয়েন্ট অব অর্ডারের (সভার নিয়ম-কানুন সম্বন্ধে বৈধতার প্রশ্নে) ব্যাপারে সভাপতির রুলিংই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। তিনি কার্যনির্বাহী কমিটি কোন কিছু ব্যাখ্যা বা একটি যুক্তিসংগত সিদ্ধান্তে উপনীত হতে ব্যর্থ হলে অথবা সুশৃংখলভাবে সভার কাজ পরিচালনার স্বার্থে রুলিং দিবেন। ধারা-২৫. বিভিন্ন সভা আহবান পদ্ধতিঃ ক) বার্ষিক সাধারণ সভা লাইব্রেরীর সকল সদস্যের সমন্বয়ে একটি বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। সভাপতি এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সাথে পরামর্শক্রমে সাধারণ সম্পাদক বার্ষিক সাধারণ সভা আহবান করবেন। বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের জেন্য স্থান তারিখ ও সময় উল্লেখ করে অন্তত পক্ষে ৩০ (ত্রিশ) দিন পূর্বে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করতে হবে। বার্ষিক সাধারণ সভার বিজ্ঞপ্তি যথা সময়ে অন্ততপক্ষে ১ টি দৈনিক সংবাদপত্র ও ১ (এক) টি অনলাইন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করতে হবে। বার্ষিক সাধারণ সভা হবে লাইব্রেরী ভবন এলাকায়। লাইব্রেরীর বিধি বিধান মোতাবেক বার্ষিক সাধারণ সভায় গৃহীত সকল প্রস্তাবাবলী বাস্তবায়ন কার্যনির্বাহী কমিটি ও কাউন্সিলের জন্য বাধ্যতামূলক। কার্যনির্বাহী কমিটির সাথে পরামর্শক্রমে সাধারণ সম্পাদক বার্ষিক সাধারণ সভার আলোচ্য বিষয়সমূহ নির্ধারণ করবেন। । পবিত্র কুরআন থেকে পাঠ [] বার্ষিক রিপোর্ট পেশ ও অনুমোদন [[ অডিট রিপোর্ট পেশ ও অনুমোদন [ নির্বাচন কমিশন গঠন (যদি প্রয়োজন হয়) [[ গঠনতন্ত্রের সংশোধনী প্রস্তাব (যদি থাকে) [] অডিটর নিয়োগ (যদি প্রয়োজন হয়) বিবিধ ষষ্ঠ অধ্যায় ধারা-২৬. লাইব্রেরীর পৃষ্ঠপোষক : লাইব্রেরী সার্বিকভাবে শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রের সকল বিভাগে বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও মর্যাদা প্রদর্শনের নির্দশন হিসাবে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও স্কলারকে এবং জাতীয় জীবনে সামাজিক সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকাকে লাইব্রেরীর পৃষ্ঠপোষক হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে পারবে। এ ধরনের আমন্ত্রণ জানাতে হবে কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে এবং তা একটি উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। ধারা-২৭. পদক ও পুরস্কার প্রদানঃ লাইব্রেরী বিভিন্ন কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশের যে কোন নাগরিককে খেতাব, সনদ/পদক/নগদ অর্থ পুরস্কার দিতে পারবে।

ধারা-২৮. অর্থ ও তহবিল ব্যবস্থাপনা: (ক) উপকূলীয় পাবলিক লাইব্রেরীর তহবিলের রক্ষণাবেক্ষণ ও হিসাব নিকাশের দায়িত্ব ন্যস্ত থাকবে কোষাধ্যক্ষের উপর। তহবিলের যথাযথ ও দক্ষ ব্যবহারের ব্যাপারে তিনি লাইব্রেরীর কার্যনির্বাহী কমিটি, ও সাধারণ পরিষদের কাছে দায়ী থাকবেন। (খ) কার্যনির্বাহী কমিটির নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে কোষাধ্যক্ষ লাইব্রেরীর সম্পদ ও বিনিয়োগ তত্ত্বাবধান করবেন এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে আর্থিক প্রতিবেদন পেশ করবেন। (গ) কোষাধ্যক্ষ গঠনতন্ত্রের বিধান অনুসারে যথাসময়ে বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন, তা উপস্থাপন এবং হিসাব নিরীক্ষণের দায়িত্ব পালন করবেন। (ঘ) কোষাধ্যক্ষ নিয়মিতভাবে প্রত্যেক মাসের শেষে জমা খরচের বইয়ে স্বাক্ষর করবেন (ঙ) চূড়ান্তভাবে পরিশোধের আগে কোষাধ্যক্ষ বিল/ভাউচারসমূহ পরীক্ষা করবেন এবং নিজে ব্যক্তিগতভাবে এই মর্মে সন্তুষ্ট হবেন যে, প্রত্যেকটি বিল/ভাউচার লাইব্রেরীর কাজের উদ্দেশ্যে যৌক্তিক ও প্রয়োজনীয় এবং উদ্দেশ্য ও কাজ কার্যনির্বাহী কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত এবং ব্যয় বাজেটের আওতাধীন এবং পর্যাপ্ত বাজেট মঞ্জুরী বিদ্যমান। (ক) সংগৃহীত সকল মঞ্জুরী বা ধার্যকৃত অর্থ, চাঁদা ও ফি ইত্যাদি যথাসময়ে যথাযথভাবে হিসাব বইতে জমা করতে হবে। (ক) হিসাব-নিকাশ প্রাক্কলন, রশিদ ও আয়-ব্যয় সংশ্লিষ্ট যাবতীয় কর্মকান্ড গঠনতন্ত্রের বিধি-বিধান মোতাবেক যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। ধারা-২৯, সাধারণ সভাঃ সভাপতি সংগঠনের সাংবিধানিক প্রধান। এই সভা বৎসরে অন্তত পক্ষে ১ (বার) অনুষ্ঠিত হবে। সংস্থার বৃহত্তর স্বার্থে অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জরুরী ভিত্তিতে সাধারণ সভা আহ্বান করা যেতে পারে। সভাপতির অনুমোদনক্রমে সাধারণ সম্পাদক এই সভা আহ্বান করবেন। সভার স্থান, তারিখ, সময় এবং সভার আলোচ্যসূচী উল্লেখ পূর্বক ১৫ (পনের) দিন পূর্বে সভার বিজ্ঞপ্তি নোটিশ বইয়ের মাধ্যমে সদস্যদের নিকট পৌছাবেন। দুই তৃতীয়াংশ সদস্যদের উপস্থিতিতে এই সভার কোরাম পূর্ণ হইবে। ধারা-৩০. কার্যকরী পরিষদ সভাঃ সভাপতির অনুমোদনক্রমে ৭ (সাত) দিনের নোটিশে সাধারণ সম্পাদক এই সভা আহ্বান করবেন। সভার বিজ্ঞপ্তিতে সভার স্থান, তারিখ, সময় এবং সভার আলোচ্যসূচী উল্লেখ পূর্বক নোটিশের মাধ্যমে সদস্যদেরকে অবহিত করতে হবে। মাসে অন্তত পক্ষে একবার এই সভা অনুষ্ঠিত হইবে। দুই তৃতীয়াংশ সদস্যদের উপস্থিতিতে এই সভার কোরাম পূর্ণ হবে। ধারা-৩১. জরুরী সভাঃ বিশেষ জরুরী প্রয়োজনে সভাপতি অথবা সভাপতির অনুমোদনক্রমে সাধারণ সম্পাদক জরুরী সাধারন সভা ৩ (তিন) দিনের বিজ্ঞপ্তিতে এবং জরুরী নির্বাহী পরিষদের সভা ২৪ (চব্বিশ) ঘন্টার বিজ্ঞপ্তিতে আহ্বান করতে পারবেন। দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে এই সভার কোরাম পূর্ণ হবে। এই সভার বিজ্ঞপ্তিতে সভার আলোচ্যসূচী এবং সভা আহ্বানের কারণ উল্লেখ করে নোটিশের মাধ্যমে সদস্যদের নিকট নিশ্চিতভাবে জানাতে হবে। জরুরী সাধারণ সভা অথবা নির্বাহী পরিষদের সভার আলোচ্যসূচী নোটিশে উল্লেখ করো সদস্যদের জানাতে হবে। ধারা-৩২. তলবী সভাঃ যদি কোন সময় লাইব্রেরী পরিচালনায় জটিল সমস্যার উদ্ভব হয় সেই সমস্যা সমাধানের জন্য লাইব্রেরীর দুই তৃতীয়াংশ সদস্য সম্মিলিত ভাবে সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত আবেদন দাখিল করবেন। আবেদন পত্র দাখিল করার ২১ (একুশ) দিনের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক উক্ত সমস্যার কোন সমাধান দিতে না পারলে আবেদনকারীগণ পুনরায় সভাপতির নিকট লিখিতভাবে আবেদন করবেন। সভাপতি ০৭ (সাত) দিনের মধ্যে উদ্ভব বিষয়ের সমাধান দিবেন। তলবী সভায় সভাপতির গৃহীত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। ধারা-৩৩. মূলতবী সভাঃ কোরামের অভাবে সভা পরিচালনা করা সম্ভব না হলে পরবর্তী সময়ে সভা পরিচালনার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মূলতবী সভায় কোরামের প্রয়োজন হবে না। ধারা-১: নোটিশঃ সদস্যদের অবগতির জন্য সংস্থার সকল কার্যক্রমের চিঠি/ নোটিশপত্রাদি নির্দিষ্ট বোর্ড থেকে সংগ্রহ করতে হবে। ধারা-৩৪. নির্বাচন : ধারা-২১ এর ক.খ ও গ অনুচ্ছেদ বলবৎ রেখে কার্যকরী পরিষদের প্রতি ২ (দুই) বৎসর পর পর দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণ সভায় নির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে। সাধারণ সভার সংখ্যাগরিষ্ট সদস্য একমত পোষণ করলে প্রস্তাব ও সমর্থনের মাধ্যমে নির্বাহী পরিষদ গঠন করা যাবে। পরবর্তী কার্যকরী পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১ মাস পূর্বে নতুন নির্বাহী পরিষদ গঠন করতে হবে অথবা সভায় গোপন ব্যালেটের মাধ্যমে নির্বাহী পরিষদ গঠন করা যাবে। এ ক্ষেত্রে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করতে হবে। তিন জনের মধ্যে একজন আহবায়ক হিসাবে থাকবেন। উক্ত কমিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার ব্যবস্থা নিবেন। নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ২৫ দিন পূর্বে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবেন। নির্বাচনী তফশিল ঘোষণা এবং সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করত, নির্ধারিত দিনে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করে ফলাফল ঘোষণা করবেন। ফলাফলে একই পদে সমান সংখ্যক ভোট পাইলে লটারির মাধ্যমে প্রকাশ্যে নির্বাচিত ঘোষনা করবেন। নির্বাচন পরিচালনা কমিটি কর্তৃক ফলাফল প্রকাশ চূড়ান্ত বলা বিবেচিত হবে। নির্বাচিত কমিটি শপথ গ্রহণের পর পরই নির্বাচন পরিচালনা কমিটি বিলুপ্ত হবে। ধারা-৩৫: এডহক কমিটি: কোন কারনে নির্বাচন বানচাল হলে কমিশন যার উপর দায়িত্ব অর্পন করবেন তাকে তত্ত্বাবধায়ক করে ৫ (পাঁচ) সদস্য বিশিষ্ট একটি এডহক কমিটি নিয়োগ করে সংস্থার প্রয়োজনীয় কাজ পরিচালনা করবেন। অবশ্যই এডহক কমিটির মেয়াদ ৯০ দিনের বেশী হবে না। এমতাবস্থায় প্রাক্তন কার্যকরী পরিষদ এডহক কমিটির উপর দায়িত্বভার হস্তান্তর করবেন। পরে নির্বাচনের মাধ্যমে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নতুন কার্যকরী পরিষদ গঠন করতে হবে ধারা-৩৬৪ অনাস্থা প্রস্তাব: যদি কোন সময় নির্বাহী পরিষদের কোন সদস্য লাইব্রেরীর স্বার্থের পরিপন্থী কোন কাজ করেন তবে তার বিরুদ্ধে নির্বাহী পরিষদের দুই তৃতীয়াংশ সদস্য কর্তৃক অনাস্থা প্রস্তাব আনয়ন করা যাবে। উক্ত সদস্যগণ সভাপতিকে অনাস্থা প্রস্তাবের ব্যাপারে সভা আহ্বান করার জন্য ‘অনুরোধ করবেন। অনাস্থার মাধ্যমে কোন পদ শূন্য হইলে সাধারণ সভায় আলোচনার মাধ্যমে উক্ত পদে যে কোন সদস্যকে কো-অপ্ট করতে পারবেন।

ধারা-৩৭৪ কর্মকর্তা/কর্মচারী নিয়োগ : লাইব্রেরীর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কর্মকর্তা/কর্মচারী নিয়োগের প্রয়োজন দেখা দিলে কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক ৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট একটি নিয়োগ কমিটি গঠন গঠিত হবে। গঠিত নিয়োগ কমিটি কর্মচারী নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় বিজ্ঞপ্তি পচার করে ইন্টাভিউর মাধ্যমে যাচাই বাছাই করে কর্মচারী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়ে কর্মচারীদের বেতন/ভাতা ও কাজকর্ম নির্ধারণ করবেন। নিয়োগ প্রক্রিয়া সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাহী পরিচালক সদস্য সচিব হিসেবে মূল ভূমিকা পালন করবেন। ধারা-৩৮৪ সংস্থার আয়ের উৎস : বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদান সম্পকিত ও সদস্য চাঁদা, অনুদান, সরকারী বা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের দান, দাতা সংস্থা, দেশী বা বৈদেশিক অনুদান বা ধনাঢ্য ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে প্রাপ্ত দান, লাইব্রেরীর আয়ের উৎস হিসাবে গণ্য হবে। ধারা-৩৯: আর্থিক প্রশাসন: (ক) ব্যাংক হিসাব পরিচালনা ৪ লাইব্রেরীর অনুকূলে প্রাপ্ত সকল দেশীয় ও বৈদেশিক অনুদান বাংলাদেশের যে কোন শিডিউল ব্যাংকের হিসাবের মাধ্যমে গ্রহণ করা হবে। এছাড়া লাইব্রেরীর নামে স্থানীয় যে কোন বাণিজ্যিক ব্যাংকে হিসাব খোলা যাবে। এই হিসাব সভাপতি, সাধারন সম্পাদক এবং কোষাধ্যক্ষ এর যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হবে। ব্যাংক হইতে অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক অথবা কোষাধ্যক্ষের মধ্য মোট দুই জনের যৌথ স্বাক্ষর প্রয়োজন হবে। ১ জানুয়ারী হতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কে আর্থিক বছর হিসেবে গণ্য করা হবে। কোষাধ্যক্ষ সকল আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ করিবেন। লাইব্রেরীর হিসাব নিকটবর্তী যে কোন একটি ব্যাংকে খুলতে হবে। ইহার পরিচালনা লাইব্রেরীর নির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরিচালিত হবে। (খ) সংস্থার আয়-ব্যয় হিসাব নিরীক্ষন (অডিট): প্রত্যেক আর্থিক বৎসরের শেষে অত্র লাইব্রেরীর রেজিষ্টেশন কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান হতে অথবা কোন অনুমোদিত অডিট ফার্ম হইতে হিসাব নিরীক্ষা করতে হবে। সরকার বা রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত অডিট ফার্ম দ্বারা সংস্থার আয় ব্যয়ের হিসাব নিরীক্ষা করা হবে। (গ) আর্থিক লেনদেন ও চুক্তি সম্পর্কীয় ক্ষমতা ৪ নিম্নলিখিত ভাবে সংস্থার তহবিল সংগ্রহ করতে পারবেন: (ক) ভর্তি ফি। (খ) সদস্য চাঁদা। (গ) এককালীন সদস্য চাঁদা। (ঘ) এককালীন অনুদান ও কোন প্রকল্প হইতে আয় এবং ব্যাংক, সংস্থা, ফাউন্ডেশন ও অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে তহবিল গঠন। (ঙ) কোন বিশেষ ব্যক্তি/ পতিষ্ঠানের অনুদান। (চ) সরকারী অনুদান। (ছ) সরকারের বিশেষ প্রকল্প অনুদান/ ঋণগ্রহণ।

(জ) যে কোন কাজে বিদেশী দান, অনুদান এবং বিদেশী এম্বেসীর দান, অনুদান ইত্যাদি। ধারা ৪০: আইনগত বাধ্যবাধকতা: (ক) এই গঠনতন্ত্র বা তদাধিনে প্রণীত কার্যবিবরণী কিংবা অন্য যে কোন কাগজপত্রে যাহাই লিখা থাকুকনা কেন ১৯৬১ সালের ৪৬ নং অধ্যাদেশ বা তৎসম্পর্কিত ১৯৬২ সালের বিধিসমূহ কিংবা দেশে প্রচলিত আইন, সংবিধান বা সামাজিক নিয়মকানুন পরিপন্থি কোন কার্যকলাপ এই সংগঠন কর্তৃক পরিচালিত হবে না। (গ) লাইব্রেরীর ঠিকানা পরিবর্তন করা হলে তা অবশ্যই ৭ (সাত) দিনের মধ্যে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানাতে হবে। (ঘ) নির্ধারিত সময়ে বার্ষিক রিপোর্ট ও অডিট রিপোর্ট নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করতে হবে এবং সর্বসাধারণের জ্ঞাতার্থে প্রকাশ করতে হইবে। (৫) নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ বা তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন অফিসার যে কোন সময় সংস্থার হিসাব নিকাশ, নথিপত্র, ঋণপত্র, নগদ অর্থের হিসাব এবং অন্যান্য স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের হিসাব এবং তৎসম্পর্কিত দলিল দস্তাবেজ পরীক্ষা করতে পারবেন। (ছ) নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের চাহিদা মোতাবেক তথ্যাদি প্রেরণ করতে হবে (জ) যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতিত জনগণের নিকট হইতে অর্থ গ্রহণপূর্বক কোন সঞ্চয়ী কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না। ধারা-৪১: গঠনতন্ত্র সংশোধন বা পরিবর্তন: যদি কোন সময় বা কোন পরিস্থিতিতে সংবিধানের কোন ধারা বা উপধারা পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন বা সংকোচন অথবা বিয়োজনের প্রয়োজন দেখা দেয়, তা হলে প্রথমে নির্বাহী পরিষদের সভায় যে সমস্ত বিষয়ে সংশোধন বা সংকোচন অথবা সংযোজনের প্রয়োজন তা চিহ্নিত করে পুনরায় একটি পুর্ণাঙ্গ সংশোধিত খসড়া সংবিধান প্রস্তুত করতে হবে। সাধারণ পরিষদের মোট সদস্যের দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে গঠনতন্ত্র সংশোধন বিষয়ে অনুমোদন গ্রহন করে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করতে হবে। নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত অনুমোদনের পর তাহা কার্যকর হবে। ধারা- ৪২ ৪ লাইব্রেরীর বিলুপ্তি সাধন ৪ যদি কোন কারণ বশত, এই গ্রন্থগারের বিলুপ্তির প্রশ্ন দেখা দেয়, তা হলে সকল শ্রেণীর সর্বমোট সদস্যের দুই তৃতীয়াংশ সদস্য রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষের নিকট লাইব্রেরীর বিলুপ্তি চাইলে লিখিতভাবে আবেদন দাখিল করবেন। নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ বা তাহার মনোনীত কোন কর্মকর্তা দ্বারা বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজন বোধে লাইব্রেরীর বিলুপ্তি ঘোষণা করবেন। লাইব্রেরী বিলুপ্তি ঘোষিত হলে লাইব্রেরীর সকল দায় দেনা পরিশোধান্তে সংস্থার যাবতীয় স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের অনুকূলে চলে যাবে এবং নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ যে কোন দাতব্য সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠনকে তা হস্তান্তর করতে পারবেন। ধারা- ৪৩: গঠনতন্ত্র অনুমোদন: অদ্য //২০১৭ তারিখে অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্যদের সভায় এই গঠনতন্ত্র সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত ও গৃহীত হলো।

১. প্রশিক্ষণ বিভাগ ২. সংকলন ও সূচি বিভাগ ৩. বিনিময় ও নির্দেশনা বিভাগ ৪. বই বাঁধাই বিভাগ ৫. সাধারণ সম্পর্ক বিভাগ ৬. মেরামহত ও সংস্কার বিভাগ ৭. ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী ৮. নির্দিষ্ট অধ্যয়ন কক্ষ ৯. সাময়িকী বিভাগ ১০. দূর্লভ গ্রন্থ বিভাগ ১১. নারীদের অধ্যয়ন কক্ষ ১২. বিশেষ সংগ্রহ বিভাগ ১৩. বাঁধাই প্রকল্প ১৪. পুস্তিকা মেরামত ও সংরক্ষণ বিভাগ ১৫. হস্ত ও মেশিনে কিতাব লিখন বিভাগ ১৬. ইলেকট্রনিক লাইব্রেরী বিভাগ ১৭. যোগান বিভাগ